সিলেট ব্যুরো : বিয়ানীবাজারে লন্ডন প্রবাসী জামাল আহমদ পৈত্রিক ভূমিতে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করলে কতিপয় ব্যক্তি ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তারা রাতের আধারে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে প্রবাসীর কেয়ার টেকার জাকির হোসেনের বসতঘর ভাংচুর ও ১০ লক্ষাধিক টাকার নির্মাণ সামগ্রী লুট করেছে। এঘটনায় কেয়ার টেকার ৬ চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে ৯ জানুয়ারি দ্রুত বিচার আইনে দ্রুত বিচার আদালতে মামলা (নং-৩/২০২৫) করেছেন। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে আসামিরা বাদিকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার নিয়ে তিনি বিয়ানীবাজার ছেড়ে বড়লেখায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ফেনগ্রামের বাসিন্দা লন্ডন প্রবাসী জামাল আহমদ চন্দগ্রাম মৌজায় প্রায় সাড়ে ৫২ শতাংশ ভূমির পৈত্রিক সূত্রে মালিক হন। তিনি প্রবাসে থাকায় উক্ত ভূ-সম্পত্তি দেখাশুনায় আমোক্তার সৃজনের মাধ্যমে জাকির হোসেনকে কেয়ারটেকার নিযুক্ত করেন। বসবাসের জন্য ঘর নির্মাণ করে দেন। লন্ডন প্রবাসী জামাল আহমদ পৈত্রিক ভূমিতে ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে কেয়ার টেকার জাকির হোসেনকে নির্মাণ কাজ পরিচালনার দায়িত্ব দেন। জাকির হোসেন বর্ণিত ভূমিতে ভবন নির্মাণের সামগ্রী মজুত করেন। ভবনের নির্মাণের সামগ্রী মজুত ও কাজ শুরুর প্রস্তুতি দেখে ফেনগ্রামের জায়েদ আহমদ, মিছবাহ উদ্দিন, কয়েছ আহমদ, দেলোয়ার হোসেন, রেজাউল ইসলাম, আলিম উদ্দিন প্রমুখ ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বিভিন্নভাবে চাঁদা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তারা গত ২২ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে প্রবাসীর ভূমিতে অনধিকার প্রবেশ করে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। কেয়ারটেকার জাকির হোসেনকে মারধর ও অস্থায়ী বসত ঘর ভাংচুর করে ১০ লক্ষাধিক টাকার রড, সিমেন্টসহ নির্মাণ সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়।
লন্ডন প্রবাসী জামাল আহমদের কেয়ারটেকার জাকির হোসেন জানান, চাঁদা দাবী, হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় তিনি ৬ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ৯ জানুয়ারি সিলেট দ্রুত বিচার আদালতে মামলা করেন। আদালত আসামিদের আগামি ৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যে হাজির হতে সমন জারি করেছেন। মামলা তোলে নিতে আসামিরা তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। প্রায় এক মাস ধরে তিনি প্রবাসীর ওই ভূমিতে যেতে পারছেন না।