অনলাইন ডেস্ক : টানা ৭ হারে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসর শেষ করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। নিজেদের শেষ ম্যাচেও ব্যাটে-বলে ব্যর্থ ছিল ট্রাইকার্সরা। চিটাগং কিংসের কাছে ৯৬ রানে হেরেছে আরিফুল হকের দল।
গতকাল মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান সংগ্রহ করেছে চিটাগাং। দলের হয়ে ফিফটি করেছেন খাজা নাফি ও মোহাম্মদ মিঠুন। জবাবে খেলতে নেমে ১৫ ওভার ২ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১০০ রানের বেশি করতে পারেনি সিলেট।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিলেটের প্রধান কোচ মাহমুদ ইমন বলেন, ‘আমাদের শুরুটা প্রত্যাশার মধ্যে ছিল। শুরুটা আমি খারাপ বলব না। দল গঠন থেকে শুরু করে সবকিছু। সিলেটে আমাদের প্রথম দিকে বড় খেলাগুলাই ছিল। কাগজে বড় রংপুর এবং বরিশাল, যদিও টি-টোয়েন্টিতে আমি এটা বিশ্বাস করি না। যাদের উপর প্রত্যাশা বেশি ছিল তাদের পারফরম্যান্স আপ এন্ড ডাউন ছিল। তাদের পারফরম্যান্সটা পেলে হয়ত ভালো কিছু হতো। এটা আমাদের প্রথম বিপিএল, যা হয়ত পয়েন্ট টেবিলই বলে দেয়। আমার অভিজ্ঞতা কেমন হয়েছে।’
জাকির হাসান এবং জাকের আলী অনিকের পারফরম্যান্সের নিয়ে ইমন বলেছেন, ‘এটাই বললাম যেহেতু জাতীয় দলের প্লেয়ার। সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আছে। তাদের পারফরম্যান্স আসলে নিজেদের পাশাপাশি দলের লাভ হতো। ধারাবাহিকতা দরকার ছিল। পারলে হয়ত দলকে ভালো অবস্থানে নিতে পারত।’
সিলেটের অধিনায়ক আরিফুল হকের নামের ফিক্সিংয়ের অভিযোগ এসেছে এক গণমাধ্যমে। এ প্রসঙ্গে ইমন বলেন, ‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ওরাই ব্যবস্থা নিবে। আলাদা ডিপার্টমেন্ট আছে ওরাই কাজ করে।’
এছাড়া দলের পারফরম্যান্স না আসার পেছনে ইমন জানিয়েছেন, ‘এটা তো অবশ্যই প্রত্যেকটা ফ্র্যাঞ্চাইজি আশা করে দলের অবস্থান যেন ভালো হয়। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট তো এটাই। তবে আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই তারা শেষ পর্যন্ত সব প্লেয়ারের পাশে ছিল। চেষ্টা করেছে সবাইকে বুস্ট আপ করার জন্য। সাপোর্ট করেছে। আমরা সেভাবে ফল এনে দিতে পারিনি।’