মোহাঃ আসলাম আলী, বাঘা: রাজশাহীর বাঘা পৌরসভার নাগরিকদের সরকার নির্ধারিত সব ধরনের কর দিতে হয়। পৌরসভার অনেক এলাকার নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত যেমন-বৈদ্যুতিক সড়ক বাতী, সুপেয় পানি, মশকনিধন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, স্যানিটেশান,পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থা ও চলাচলের অনুপযোগী ভাঙ্গা-চোরা রাস্তাসহ পৌর এলাকায় রয়েছে অন্তহীন সমস্যা। পৌর নাগরীকদের নেই নুন্যতম সুবিধা। ফলে করের বোঝায় জর্জরিত এবং নাগরীক সুবিধা বঞ্চিত বাঘা পৌরবাসী। অথচ প্রতি মাসে পৌরকরের সঙ্গে পানির বিল, রাস্তা আলোকায়নের বিদ্যুৎ বিল ও পরিচ্ছন্নতা বিল আদায় করা হয়। কিছু এলাকায় সুপেয় পানির পাইপলাইন বসানো হলেও সব জায়গায় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কিন্তু করের সঙ্গে আদায় করা হচ্ছে পানির বিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরসভার সব এলাকায় সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। আংশিক এলাকায় রয়েছে বৈদ্যুতিক সড়কবাতী। পৌর হাট-বাজারে নামমাত্র পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। অথচ গণহারে আদায় করা হয় সব ধরনের বিল/কর।
এ বিষয়ে বাঘা পৌর এলাকার বাসিন্দা নাসির উদ্দিন,আব্দুল করিম,এলাহি বক্স,রুস্তম আলী,সুলতান আহমেদসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, আমাদের বাড়িতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই। অথচ পানির বিল ঠিকই ধরা হয় এবং বাধ্যতামূলক বিল নেয় তারা।
“পৌরসভার বাসিন্দা রেজাউল করিম বলেন, বাঘা পৌরসভা নামেই শুধু “ক” শ্রেণীর কিন্তু কামে নেই। এখানে না আছে লাইটের ব্যবস্থা, না আছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে কোনো উদ্যোগ, মশকনিধন কার্যক্রম, শুধু বছর শেষে ট্যাক্স আদায় করা হয়।
পৌর প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী আক্তার বলেন, আমি এই পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহন করার পর বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করেছি। নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। নানান সীমাবদ্ধতার কারণে নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। বিশেষ করে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে সব ধরনের সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে পৌর নাগরিকদের সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।