শামীম আরা নীপাকে কিনতে চেয়েছিলেন ফাদার রিগন

শামীম আরা নীপাকে কিনতে চেয়েছিলেন ফাদার রিগন

অনলাইন ডেস্ক : আশির দশকে বাংলাদেশ থেকে ৪০ জনের একটি সাংস্কৃতিক দল ইতালিতে গিয়েছিল। সেই দলে ছিলেন জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নীপা। এই সাংস্কৃতিক সফরের আয়োজন করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, সাহিত্যিক, অনুবাদক ফাদার মারিনো রিগন।

সেখানে একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নীপার মায়ের হাত ধরে ফাদার রিগন বলেছিলেন, ‘এমন গুণী মেয়ে কোন বাজারে কিনতে পাওয়া যায়, আমি কিনতে চাই।’

সেই প্রশংসাসূচক কথাটি সারাজীবন মাথায় তুলে রেখেছেন খ্যাতিমান এই নৃত্যশিল্পী। পরে বেশ কয়েকবার ফাদারের অতিথি হয়ে সাংস্কৃতিক প্রযোজনা নিয়ে দেশটিতে গিয়েছিলেন নীপা। সেসব স্মৃতি সম্প্রতি ফিরে এসেছে শিল্পীর বয়ানে।

আরও পড়ুনঃ  ‘সেই দৃশ্যে শুটিংয়ের পর শরীর কাঁপছিল, বমি হচ্ছিল’

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ফাদার মারিনো রিগনের শততম জন্মদিন। এ উপলক্ষে চ্যানেল আইতে রয়েছে স্মৃতিচারণমূলক আয়োজন ‘স্মরণীয় বরণীয় ফাদার রিগন’।

এ আয়োজনে স্মৃতিচারণ করবেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নীপা ও পুথিশিল্পী কাব্য কামরুল। এ অনুষ্ঠানে দেখানো হবে ফাদার রিগনকে নিয়ে একটি ছোট্ট তথ্যচিত্র পুথিশিল্পীর কণ্ঠে শোনা যাবে পুথি। একজন ধর্মযাজক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও সাহিত্যচর্চা, সমাজসংস্কার, দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, চিকিৎসাসেবা ও বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখে মারিনো রিগন আমাদের ঋণী করে গেছেন।

আরও পড়ুনঃ  বাবার রূপের বর্ণনা দিতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, বিতর্কের মুখে ঊর্বশী

শিক্ষা-সাহিত্যে-সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৯ সালে তাকে বাংলাদেশের সন্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। ২০১২ সালে তিনি পান মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা। ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর ইতালিতে মারা যান বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করা এই মানুষটি।

আরও পড়ুনঃ  পরীমণির দুই ফেসবুক স্ট্যাটাসে তোলপাড়

মৃত্যুর এক বছর পর ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর তার মরদেহ ইতালি থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়। রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দিয়ে তাকে সমাহিত করা হয় মোংলার শেলাবুনিয়া গ্রামে।

‘স্মরণীয় বরণীয় ফাদার রিগন’ অনুষ্ঠানটি চ্যানেল আইতে দেখা যাবে আজ বুধবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটে। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন রাজু আলীম, গ্রন্থণা ও উপস্থাপনা করেছেন রাসেল মাহমুদ।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *