স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে নগরীর উপশহর এলাকার বাড়িটি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলে বিক্ষুব্ধ জনতা।
বাড়িটি ভেঙে ফেলার সময় সেখানে ক্ষুব্ধ জনতাকে দেখা গেছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর পরিবার নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান খায়রুজ্জামান লিটন।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিনই এ বাড়িতে হামলা হয়। বাড়ির সবকিছুই লুট হয়ে যায় সেদিন। পরের দিনও বাড়িটির দরজা-জানালাও খুলে নিয়ে যেতে দেখা যায়। এরপর থেকে ভূতের বাড়ির মতো দালানটি দাঁড়িয়ে ছিল। সেই দালানটিও এবার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার চকসিংগা এলাকায় সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজশাহী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে ওই বাড়ির বিভিন্ন কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এদিন দুপুরে রাজশাহী কলেজে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙচুর করে ছাত্র জনতা। এছাড়া বুধবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ৪টি আবাসিক হল থেকে আওয়ামী পরিবার ও এই পরিবার সংশ্লিষ্টদের নামফলক মুছে দিয়েছে। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও জনতার ভাষ্য, রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের কারও নামের চিহ্ন রাখা হবে না।
ভারত থেকে শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়াকে কেন্দ্র করে পূর্ব ঘোষণা অনুসারে বুধবার রাত ৯টা থেকে বুলডোজার কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থী ও জনতা।
এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা সাবেক সিটি মেয়র লিটনের বাসা ভাঙচুর করেছে। বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।