এম এ রশীদ, সিলেট : বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেছেন, সাংবাদিকবৃন্দ জাতি ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করেন। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানসহ সকল প্রতিকূল সময়ে তাঁরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। অবসরকালে তাঁদের দায়িত্ব অবশ্যই রাষ্ট্রকে নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সিলেটে সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে অসুস্থ ও অসচ্ছল সাংবাদিকদের কল্যাণ অনুদান এবং সাংবাদিক সন্তানদের বৃত্তির চেক বিতরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক তথ্য অফিসের তথ্য অফিসার মো. আকিকুর রেজা, সিলেট মেট্রাপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহম্মদ বদরুদ্দোজা বদর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিলেট মেট্রাপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খালেদ আহমদ।
প্রতিকুল সময়ে যদি সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় তাহলে সময়ে সুফল পাওয়া যায় উল্লেখ করে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, গত ১৫ বছরে সকল গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। অনেক সাংবাদিক ফ্যাসিবাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। এসবে মধ্যেই যাঁরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগ করেছেন তাঁরাই সত্যিকারের সাংবাদিক।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সদয় সম্মতির কারণেই সাংবাদিক সন্তানদের বৃত্তি প্রদান সম্ভব হয়েছে মন্তব্য করে মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, সাংবাদিক সন্তানদের বৃত্তি প্রদান বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের যুগান্তকারী উদ্যোগ। এর ফলে সাংবাদিকদের পরিবারের ওপর অর্থনৈতিক চাপ কমবে। তিনি জানান, প্রবীণ সাংবাদিকদের অবসরকালীন মাসিক ভাতার আওতায় আনার বিষয়টিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।
মতবিনিময় সভায় সিলেট বিভাগের সাংবাদিকদের নূন্যতম মজুরি ব্যবস্থা, মফস্বলেও ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন, ভূইফোঁড় সাংবাদিক নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন দাবির সাথে একমত পোষণ করে মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সামর্থ্য বাড়ার সাথে সাথে পর্যাক্রমে সকল দাবি বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমানে সাংবাদিকদের নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, ট্রাস্টের ভবন ও ঢাকার বাইরের সাংবাদিকদের থাকার জন্য ডরমেটরি নির্মাণের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।