স্টাফ রিপোর্টার,দুর্গাপুর : রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাজেদুর রহমান মিঠু সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১৩ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। দুর্গাপুর থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাস ও নাশকতার মামলায় এজাহার নামীয় আসামী ছিলেন তারা। এর আগে তারা উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. শরিফুল ইসলাম জানান, নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার শর্তে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। আগাম জামিনের মেয়াদ শেষে গত ৩০ জানুয়ারি আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিনের আবেদন জানালে আদালত ৯ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেন।
রোববার দুপুরে রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) শারমিন আক্তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে আসামীদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদেশ পাওয়া আসামীরা হলেন, দুর্গাপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সাজেদুর রহমান মিঠু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান পুট্টু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজাহার আলী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিঠু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, পানানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আদম আলী, একই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম, ঝালুকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, নওপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, কাঁচুপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, শ্রীপুর ওয়ার্ডের চাঁন মিয়া ও ছাত্রলীগ নেতা তুষার।
এই মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন, রাজশাহী-৫ আসনের সাবেক সাংসদ এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারা, এই আসনের সাবেক সাংসদ প্রফেসর ডা. মনসুর রহমান, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শরিফুজ্জামান শরিফ ও পৌরসভার সাবেক মেয়র সাজেদুর রহমান মিঠু।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ সেপ্টেম্বর উপজেলার চক জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে সন্ত্রাস, নাশকতা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দুর্গাপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৭০ জন এজাহার নামীয় আসামী ছাড়াও অজ্ঞাত আসামী করা হয় আরও ২০০ জনকে।