চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায় ফুটবল প্রতিযোগীতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে দেখা গেল থানার ওসি, আওয়ামী লীগ নেতা ও বিএনপি নেতা কর্মীদের। এ নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। মঞ্চে বসে থাকতে দেখা গেছে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাব্বুল হোসেনকে। বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার জে.কে পোল্লাডাঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন মাঠে পোল্লাডাঙ্গা স্বর্ণকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা পরিষদের আয়োজনে ‘স্বর্ণকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা-২০২৫’ এর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী খেলার সভাপতি হিসেবে খেলার উদ্বোধন করেন ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহিনুর রহমান।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দলদলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হক (চুটু) ও জে.কে পোল্লাডাঙ্গা সীমান্ত ফাঁড়ী কম্পানি কমান্ডার মো. আবু হানিফ।
অনুষ্ঠানে যুবদল নেতা সামিরুল ইসলাম গাজীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন, ভোলাহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো. আতাউর রহমান (মাষ্টার), সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাব্বুল হোসেন, দলদলী আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাচ্চু, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সামিরুল ইসলাম গাজী বলেন, খেলা মানে আনন্দ। দলমত নির্বিশেষে এ টুর্নানেটিকে শেষ করারা জন্য অনুরোধ করছি। তিনি বলেন, এখন কোনো দলীয় সরকার নাই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ আপনারা সার্বিক সহযোগিতা করে এ টুর্নামেন্টকে উঠানোর জন্য সুযোগ দিবেন।
উদ্বোধনী খেলার সভাপতির বক্তব্যে ওসি মো. শাহিনুর রহমান বলেন, বর্তমানে যুব সমাজ মাদকের ন্যায় মোবাইলে আসক্ত হয়ে গেছে। তারা মোবাইলে গেমস খেলে। আমরা এমন খেলা খেলবো যে খেলা শরীরের ঘাম ঝড়বে।
উদ্বোধনী খেলার ফটো-ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে গেলে নেটিজেনদের ভিবিন্ন মন্তব্য করতে দেখা যায়। মোঃ মেহেদী হাসান বাইজিদ নামে একজন ভিডিও পোষ্ট করলে পোষ্টে মন্তব্যে মো. মুনসুর আলী লেখেন, ধন্যবাদ কাকু তোমাদেরকে টুর্নামেন্টের কমিটিকে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মিলে তোমরা খেলাটাকে পরিচালনা করছো। রিপ্লে মন্তব্যে সামিরুল ইসলাম গাজী বলেন, আমাদের পোল্লাডাংগাতে কোনো দিন দলীও ভাবে খেলা ছাড়া হয় না বুঝতে পারলেন ভাই।
শাহাজামাল খান মন্তব্য করেছেন, ভোলাহাটেও তাহলে আওয়ামী পূনর্বাসন হলো। কাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাবো সেটাই চিন্তায় পড়ে গেলাম। উনাদের না পূনর্বাসন কারী দের! তবে অনেককে শুভকামনা জানিয়ে মন্তব্য করতে দেখা গেছে। মো. মিনহাজ মন্তব্য করেন, দলমত নির্বিশেষে একতাবদ্ধ হয়ে থাকায় সবার জন্য ভালো এগিয়ে যাও পোলাডাঙ্গা।
এদিকে বক্তব্য জানতে ভোলাহাট থানার ওসি মো. শাহিনুর রহমানের মুঠোফোনে কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।