খুলনা প্রতিনিধি : অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ১২ লাখ পরিবারের মধ্যে ট্রাকসেলের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছি। সব বিভাগীয় সদর, পাঁচটি দারিদ্র্যপীড়িতসহ মোট ১৩টি এলাকায় রমজানের শেষ দিন পর্যন্ত এই কার্যক্রম চালু থাকবে।
আজ মঙ্গলবার সকালে খুলনা নগরীর শিববাড়ী মোড়ে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন। সরকার ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে দরিদ্রদের মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে এই পণ্য বিক্রি করছে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘টিসিবি ৬৩ লাখ পরিবারকে ভর্তুকিমূল্যে পণ্য সরবারহ করে থাকে। স্মার্ট কার্ড রূপান্তরের কাজে খুলনা অঞ্চলের সাফল্যের হার সবচেয়ে বেশি। এ মাসের ২৪ তারিখের মধ্যে বাকি কার্ড অ্যাকটিভেশন (চালু) সম্পন্ন হবে। এর মাধ্যমে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়বে।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এই সংখ্যা আরও বাড়াতে অতিরিক্ত ১২ লাখ পরিবারের জন্য রমজান মাসের শেষ দিন পর্যন্ত ট্রাকসেল কার্যক্রম চালু থাকবে। এর বিনিময়ে বাজারে পণ্যমূল্য আরও সহনশীল হবে। অতিরিক্ত ৯ হাজার টন পণ্য ট্রাকে বিক্রি করা হবে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে বাজার নিম্নগামী হবে, বাজার সহনশীল হবে। প্রান্তিক মানুষের জীবনে স্বস্তি আসবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা এমন দিনের স্বপ্ন দেখি, যেদিন টিসিবির কার্যক্রম আর চালাতে না হয়। সম্পদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই। সেটা হয়তো একটু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। তার পরও আমরা সেটা অর্জন করতে চাই।’
খুলনা নগরীর শিববাড়ী মোড়ে আজ মঙ্গলবার টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা নগরীর শিববাড়ী মোড়ে আজ মঙ্গলবার টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ, খুলনার পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানব সম্পদ) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ।
টিসিবি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কার্ডধারী যেকোনো ভোক্তা লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি করে মসুর ডাল ও ছোলা, এক কেজি চিনি এবং ৫০০ গ্রাম খেজুর কিনতে পারবেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকা, মসুর ডাল ও ছোলা ৬০ টাকা এবং খেজুর ১৫৬ টাকা দামে বিক্রি করবে টিসিবি।