অনলাইন ডেস্ক : সৌদি আরবের কফিলকে (মালিক) নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার চালিতাবুনিয়ায় গ্রামের নিজ বাড়িতে ফিরেছেন মো. রাজু ফরাজী নামে এক প্রবাসী। হেলিকপ্টার দেখতে স্থানীয় উৎসুক জনতা ভিড় করে। এ সময় ‘গুড বাংলাদেশ’ বলে অনুভূতি প্রকাশ করেন সৌদি নাগরিক।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের একটি মাদরাসা সংলগ্ন মাঠে হেলিকপ্টারে এসে নামেন তারা। সৌদি আরবের ওই নাগরিকের নাম আলসামারি সাদ্দাম জাহিদ। সৌদি প্রবাসী রাজু ফরাজী সাউথখালী গ্রামের শাজাহান ফরাজীর ছেলে। তিনি ৮ বছর আগে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের জুবাইল এলাকায় গিয়েছিল।
প্রবাসী রাজু ফরাজী জানান, কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের জুবাইল এলাকার বাসিন্দা আলসামারি সাদ্দাম জাহিদের মালিকানাধীন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। চাকরির সুবাদে মালিকের (কফিল) সঙ্গে সুসম্পর্ক হয় তার। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দাম্মাম থেকে বাংলাদেশ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন তাঁরা। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হেলিকপ্টার ভাড়া করে ঢাকা থেকে শরণখোলায় আসেন।
এদিকে প্রবাসী রাজুর সঙ্গে তার সৌদি কফিলের গ্রামে আসার খবরে সকাল থেকেই উৎসুক জনতা সিএসবি মাদরাসার পাশে মাঠে ভিড় করে। সৌদি থেকে আসা নাগরিককে বরণ করতে নেওয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। নিরাপত্তার জন্য শরণখোলা থানা পুলিশের একটি টিম দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে। হেলিকপ্টার থেকে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে হই-হুল্লোড় শুরু হয়ে যায়। এ সময় রাজু ফরাজীর বাবা শাজাহান ফরাজীসহ স্থানীয় লোকজন ফুলেল শুভেচ্ছা জানান আলসামারি সাদ্দাম জাহিদকে। বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদের রেপলিকা হাতে তুলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সমাজসেবক লিটন হাওলাদার বলেন, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা যেন রাজুর মতো তাদের কপিলের সাথে সুসম্পর্ক রাখেন। দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেন।
কপিল আলসামারি সাদ্দাম জাহিদ বলেন, রাজু অত্যন্ত ভালো ছেলে। আমি রাজুকে পছন্দ করি। রাজু আমার সকল ব্যবসা-বাণিজ্য দেখাশোনা করে। আমি রাজুর মতো আরও শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে নিতে চাই। প্রথমদিন এখানে এসে অনেক ভালো লেগেছে। আমার পছন্দের একটি দেশ বাংলাদেশ। এ সময় গুড বাংলাদেশ বলে অনুভূতি প্রকাশ করেন তিনি।
প্রবাসী রাজু ফরাজী বলেন, আমার কফিল (মালিক) একজন ভ্রমণপিপাসু মানুষ। তিনি বাংলাদেশ খুব পছন্দ করেন। কাজ করার সময় প্রায়ই বলতেন, আমি তোমার দেশে যাব। তাই তাকে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমরা আগে থেকে চিন্তা করি তাকে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে গ্রামে যাব। সে জন্য ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে চলে আসি। তিনি এক সপ্তাহ বাংলাদেশে থাকবেন। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ও ষাটগম্বুজ ঘুরে দেখাবো। পরে একসঙ্গে আবার সৌদিতে চলে যাব।