স্টাফ রিপোর্টার : সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের দেশের প্লাবনভূমি, হাওর, উপকূল এবং পার্বত্য অঞ্চলের বসবাসকারী মানুষের জীবন মান উন্নয়নে বড় অন্তরায় হচ্ছে এই জলবায়ুর প্রভাব। দেশের তিন ভাগের এক ভাগ উপকূলের জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নের জন্য আমাদের দেশের বাজেট পর্যাপ্ত নয়, উপেক্ষিত ফলে কাজের ন্যায্যতা কিভাবে এগোবে।

বর্তমান সরকার একটি ভিন্ন জায়গা থেকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য এসেছে, এজন্য তৃণমূল পর্যায়ের জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে পরিবর্তনের না পাওয়ার বিষয়টি রয়েই গেছে উল্লেখ করে বলেন, আপনাদের গবেষণালব্ধ চিন্তা ভাবনাগুলো যদি এ সরকারের সাথে ভাষাগত মিল হয় তাহলে সরকারের কার্যকলাপে আপনারা তা পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
তিনি আজ ঢাকায় একটি স্থানীয় হোটেলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত সহিংসতার শিকার প্রতিবন্ধী নারীদের বিচার প্রাপ্তি বিষয়ক ও গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
সেমিনারে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন পরিবেশ বিজ্ঞানী আহসান উদ্দিন আহমেদ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য পারভীন মাহমুদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেন দূতাবাসের উন্নয়ন সহযোগিতা কর্পোরেশনের প্রধান মারিয়া স্ট্রিডসম্যান এবং ইউএসএআইডি এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, গবেষণা কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ও প্ল্যাটফর্ম সমূহ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিবর্গ তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দেশে এমন কতগুলো উল্লেখযোগ্য উপকূল আছে সেখানকার মানুষ সভ্যতার অভাবের কারণে একেবারে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। তিনি বলেন, সভ্যতার উন্নয়নে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এমন কতগুলো মৌলিক কাজে হাত দিতে হবে যে কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে উন্নত লাভ করবে। তিনি বলেন, এই ড. ইউনূস সরকার তৃণমূল মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে বিশ্বাস করে কিন্তু জলবায়ুর প্রতিক্রিয়ায় আমরা হিমশিম খাচ্ছি এবং সেই জায়গায় আমরা স্ট্রোগল করে যাচ্ছি, স্ট্রোগল চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় আমাদের সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। এ দায়িত্ব থেকে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আলোচনাগুলো আরো জোরালোভাবে হয় যাতে বিশ্ববাসী জানতে পারে, এ অবদান আমাদের রাখা দরকার বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের দারিদ্র সীমার ডেটার পরিবর্তন আনতে, জলবায়ুর শিকার থেকে মুক্ত পেতে একটা বড় গবেষণার মাধ্যমে পরিবর্তন আনতে হবে। নারী-পুরুষের ভারসাম্যের উপর জোর দিতে তার ভাবনার কথা ব্যক্ত করেন।