অনলাইন ডেস্ক : ঘণ্টাখানেকের মাঝে দ্বিতীয় অঘটনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন ফুটবল ভক্তরা। ফেইনুর্দের কাছে এসি মিলানের হারটাকে এবছরের বড় অঘটনের একটা বলা চলে অনায়াসে। এরপরেই বায়ার্নের মাঠে সেল্টিক উপহার দিলো অন্যরকম এক ফুটবল। ইউরোপের তাবৎ বড় দলগুলো যে স্টেডিয়ামে তাল সামলাতে হিমশিম খায়, সেখানেই প্রায় জয়ের প্রান্তে ছিল সেল্টিক।
নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটের খেলা চলে তখন। সেল্টিক এগিয়ে ১-০ গোলে। তাদের এই জয় দুই লেগের লড়াইকে নিয়ে যাবে অতিরিক্ত সময়ে। ঠিক তখনই গোল। বলা চলে ম্যাচের শেষ সময়ে ভাগ্যকে পাশে পেল বায়ার্ন মিউনিখ। সেল্টিককে হতাশায় ঢুবিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিল ৬ বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় প্লে-অফের ফিরতি লেগে ১-১ ড্র করে, দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ অ্যাগ্রিগেটে পরের ধাপে উঠল বায়ার্ন। গত সপ্তাহে স্কটিশ দলটির মাঠে ২-১ গোলে জিতেছিল ভিনসেন্ট কোম্পানির দল।
ফিরতি দেখায় ঠিক চেনা রূপে নিজেদের মেলে ধরতে পারছিল না বায়ার্ন। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধে তাদের জালে বল পাঠান নিকোলাস কুন। এরপর, আক্রমণের ঝড় তোলে ছয়বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। অবশেষে, গোলের জন্য ২৩তম প্রচেষ্টায় আলফুঁস ডেভিসের ছোঁয়ায় মেলে সাফল্যের দেখা।
রক্ষণ জমাট রেখে, অসাধারণ কিছুর সম্ভাবনা জাগিয়ে একরাশ হতাশায় মাঠ ছাড়ল সেল্টিক। ৩০ শতাংশ বল দখলে রেখে পাঁচটি শট নিতে পারে তারা, যার তিনটি ছিল লক্ষ্যে।
ঘরের মাঠে শুরুতেই এগিয়ে যাবার সুযোগ পেয়ে যায় বায়ার্ন। কিন্তু, ওলিসের ক্রস গোলমুখে পেয়েও সার্জ ন্যাব্রির হেড জালের দেখা পায়নি। খানিক পর কয়েকটি আক্রমণ করে সেল্টিক, অবশ্য একটিও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। নিকোলাস কুনের শট গোললাইনের সামনে থেকে ক্লিয়ার হয়। বিরতির আগে হ্যারি কেইনের শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ক্রসবারে লেগে ফেরে।
৪৭তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে একা পান লেয়ন গোরেৎজকা; কিন্তু তার শট এগিয়ে এসে দারুণভাবে রুখে দেন ক্যাস্পার স্মাইকেল। ৬৩তম মিনিটে বায়ার্ন পজেশন হারালে কাউন্টার অ্যাটাকে এগিয়ে যায় সফরকারী সেল্টিক। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন সেল্টিকের জার্মান ফরোয়ার্ড কুন। ম্যাচে এগিয়ে যায় সেল্টিক, দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-২।
ম্যাচে ফিরতে মরিয়া বায়ার্ন বেশ অনেক সুযোগই নষ্ট করেছে শেষ পর্যন্ত। তবে ৯৪ মিনিটে ঠিকই গোল পায় তারা। গোরেৎজকার শট স্মাইকেল আটকে দিলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। সেল্টিক ডিফেন্ডাররা ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন, কিন্তু ডেভিসের পায়ে লেগে বল গোললাইন পেরিয়ে যায়। ১-১ সমতায় থেকেও নিশ্চিত হয় বায়ার্নের রাউন্ড অব সিক্সটিন।