• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • ২৩শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • somoyerkotha24news@gmail.com
  • +880-1727-202675

শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ভাষা শহীদদের স্মরণ

প্রকাশ: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১:২৬

শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ভাষা শহীদদের স্মরণ

অনলাইন ডেস্ক : যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ভাষা শহীদদের স্মরণ করেছে সমগ্র জাতি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল হাতে স্মৃতির মিনারে জড়ো হন আপামর জনতা। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের শ্রদ্ধার ফুলে ভরে উঠেছে শহীদ বেদি।

আজ শুক্রবার শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে এসে কাঙ্খিত লক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় জানান অনেকে।

মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একুশের প্রথম প্রহরেই হাজার-হাজার মানুষের ঢল নামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। ফুলে-ফুলে ভরে উঠে বাঙালির শোক আর অহংকারের এই মিনার। এসময় অনেক বিদেশী নাগরিককে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেখা গেছে।

একুশের প্রথম প্রহরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় অমর একুশের কালজয়ী গান-‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ বাজানো হয়।

আরও পড়ুনঃ  স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা রাজশাহী সফরে আসছেন শনিবার

প্রধান উপদেষ্টা পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর প্রধান বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্যবৃন্দ, কূটনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একুশের প্রথম প্রহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা অতিথিদের স্বাগত জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। এসময় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অমর একুশে পালন উপলক্ষে গঠিত কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়কারী কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, যুগ্ম সমন্বয়কারী বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম ও ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সেলিম রেজা এবং সদস্য-সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  ফ্যাসিস্ট পতনের পর দেশ বিনির্মাণে ‘আশার আলো’ দেখতে পাচ্ছি: মির্জা ফখরুল

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টায় ‘স্মৃতি চিরন্তন’ চত্বর থেকে মৌন মিছিল ও প্রভাত ফেরি বের করা হয়। মৌন-মিছিল ও প্রভাত ফেরিটি উদয়ন স্কুল হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যায়, পরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, রেজিস্ট্রার, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, সকল অনুষদের ডিন, হল ও হোস্টেলসমূহের প্রাধ্যক্ষ ও ওয়ার্ডেন, প্রক্টর, বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও ইনন্সিটিউটের পরিচালক, অফিস প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া, বাদ আছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদুল জামিয়াসহ সব হলের মসজিদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকার মসজিদে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  আলোচনা সভা-দোয়ায় শহীদ দিবস পালনের আহ্বান জামায়াতের

‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রভাত ফেরি সহকারে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাংলা ভাষার দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ, জারি হয় ১৪৪ ধারা, ভেঙে ফেলা হয় শোষকের শৃঙ্খল। রক্তে ভেসে যায় রাজপথ। গুলিতে বিদীর্ণ হয় বুক। শহীদ হন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা আরো অনেকে। ভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে ইতিহাস গড়েন তারা। বাংলা পায় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা।

মাতৃভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গের এই দিনটিকে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দেয় ১৯৯৯ সালে। অমর একুশে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। একুশের চেতনার প্রতীক ‘শহীদ মিনার’ এখন এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ সব মহাদেশের বহুভাষিক চেতনার স্মারক।

এছাড়াও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে রাজধানীর স্কুল-কলেজ ও পাড়া-মহল্লায়ও ছিল নানা আয়োজন। অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সবাই। এই শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় বেঁচে থাকবে আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা এমনটাই প্রত্যাশা সবার। এসব আয়োজনে শিশুদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

সর্বশেষ সংবাদ

 

রাজনীতি-এর আরও সংবাদ

 



সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার

ঢাকা অফিস: ১২১,ডি.আই.টি, এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। রাজশাহী অফিস: বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী। ই-মেইল: somoyerkotha24news@gmail.com, মোবাইল: 01727202675