বিরোধীতা সত্ত্বেও ইমরান খানের নামে স্টেডিয়াম নামকরণের সিদ্ধান্ত

বিরোধীতা সত্ত্বেও ইমরান খানের নামে স্টেডিয়াম নামকরণের সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক : ক্রিকেট মাঠ থেকে রাজনীতির ময়দান, দুটি ভিন্ন ভূমিকাতেই বাজিমাত করেছিলেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি অধিনায়ক ইমরান খান। যদিও তার বর্তমান সময়টা কাটছে মামলার বেড়াজাল ও কারাগারের বদ্ধ প্রকোষ্ঠে। এরই মাঝে খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক সরকার তাদের একটি স্টেডিয়ামকে ইমরান খানের নামে নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বিরোধীতার মুখে পড়েছে সেই সিদ্ধান্ত।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ডন’ বলছে, গতকাল (শুক্রবার) ‘পেশাওয়ার আরবাব নিয়াজ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের’ নাম বদলে ‘ইমরান খান ক্রিকেট স্টেডিয়াম’ করার অনুমোদন দিয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়ার ক্যাবিনেট। প্রদেশের একমাত্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নাম পাল্টানোর পরিকল্পনা আগে থেকেই জানিয়ে আসছিল রাজ্য সরকার। দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে নেতার ভূমিকায় ভিন্ন কাঠামোয় ‍রূপ দেওয়ার স্বীকৃতি হিসেবে পিটিআই প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে এই মর্যাদা দিতে চায় তারা।

আরও পড়ুনঃ  ‘নেশাচ্ছন্ন অবস্থায় আমার পোশাক ঠিক করে দিতে চায় অভিনেতা’

কেপি’র (খাইবার পাখতুনখোয়া) প্রধানমন্ত্রী আলি আমিন খান গান্দাপুর একদিন আগে স্টেডিয়ামের নামকরণ প্রস্তাবের সারমর্ম স্পোর্টস বিভাগকে জানিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ক্রীড়া বিভাগ থেকে স্থানীয় সিটি কর্পোরেশন ও প্রাদেশিক সরকারের অধীনে ১৯৮৬-৮৭ সালে এই স্টেডিয়াম স্থানান্তরিত হয়। পরবর্তীতে পাকিস্তান ও ভারতের যৌথভাবে আয়োজিত ১৯৯৬ বিশ্বকাপের সময় সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয় আরবাব নিয়াজ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের।

আরও পড়ুনঃ  হুইলচেয়ার ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশ

এর আগে এই ভেন্যুতে আন্তর্জাতিক টেস্ট, ওয়ানডে এবং প্রথম শ্রেণির ম্যাচের পাশাপাশি ঘরোয়া বিভিন্ন প্রতিযোগিতাও আয়োজিত হত। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভারত ও জিম্বাবুয়ের মতো দেশও এখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করছেন আরবাব নিয়াজ পরিবার। তার সন্তান ও সাবেক রাজ্য প্রধান আরবাব শেহজাদ এক সময় ইমরান খানের পরামর্শকও ছিলেন। তিনি নতুন নামকরণের এই সিদ্ধান্তকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সন্তুষ্ট করার একটি কৌশল বলে মনে করছেন।

আরও পড়ুনঃ  গায়কের নামে রাখা হয়েছিল মেসির নাম, দেখা হলো দুজনের

আরবাব শেহজাদ বলছেন, তার বাবার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মৃত্যুর পর পেশাওয়ার মিউনিসিপাল কমিটি স্টেডিয়ামটি নামকরণ করেছিল। এমনকি ইমরান খান নতুন করে নামকরণের অনুমোদন দিয়েছেন কি না সেই প্রশ্নও তুলেছেন আরবাব। এ ছাড়া তিনি স্মরণ করে দিয়েছেন যে, এর আগে ইমরান খান জীবিত কারও নামে সড়ক কিংবা কোনো ভবনের নামকরণ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন।

অন্যদিকে, ক্রীড়ামন্ত্রী সায়েদ ফখর জাহান ডনকে জানিয়েছেন, স্টেডিয়াম নামকরণের বিষয়টি রাজনীতির বহির্ভূত বিষয়। কারণ ইমরান দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নাম।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *