অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই যেন বলে দেওয়া যায় চিত্রপট। সর্বশেষ কয়েকটি আইসিসির ইভেন্ট পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে বাংলাদেশ পড়ে ঠিক একই জায়গাতে। সাধারণত বড় দলের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে গেল কয়েক বছরে সমীকরণ যেন একই মেরুতে গাঁথা। সেই নড়বড়ে ব্যাটিং আর বোলারদের কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা। চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও দেখা গেল একই চিত্র।
গতকাল (সোমবার) কার্যত বাঁচা-মরার ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ১০০ তুলতেই টপঅর্ডারের ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলতে হয়। পরে নাজমুল হোসেন শান্তর টেস্ট মেজাজে ৭৭ রানের ইনিংসে ভর করেও আড়াইশো ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচে রান পাননি অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরাও। যে কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তারা। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন তাদের এখনো দলে খেলা নিয়েও।
সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট মনে করেন ক্রিকেটারদের অবসরের সিদ্ধান্ত তাদের ওপরই ছেড়ে দেওয়ার কথা। ঢাকা পোস্টকে পাইলট বলছিলেন, ‘আমার অনুরোধ জোর করে অবসর দেওয়ার দরকার নাই। ক্রিকেটাররাই বুঝবে যে তার কখন অবসর নিতে হবে। আপনি দেখেন গতকালকের ম্যাচে নিউজিল্যান্ড দলে মিচেল খেলে নাই, ব্যাক-আপ রাচীন রাবীন্দ্র সুযোগ পেয়েই করেছেন সেঞ্চুরি। যেটা আমাদের আসলে নেই।’
পরে পাইলটের কাছে জানতে চাওয়া হয় ক্রিকেটারদের কমিটমেন্ট কম কি না। দেশ ছাড়ার আগে অধিনায়ক শান্ত বলেছিলেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যের কথা। তবে বাস্তবে জোড়া ম্যাচ হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। পাইলট বলছিলেন, ‘কমিটমেন্ট একটু কম আছেই। এগুলো তৈরি করতে হলে কিন্তু অনেক প্রস্তুতি লাগে যেটা আমরা তৈরি করে দিতে পারছি না। ওরা যে একদম পরিপূর্ণ খেলোয়াড় হবে বড় ক্রিকেটারদের মতো সেটা শুরু থেকে তৈরি করতে পারিনি। আপনি চাইলেই তো পরিপূর্ণ হবে না, ভালো জিনিস না দিলে কি ভালো রান্না হবে বলেন।’
সমস্যা কোথায় জানতে চাইলে পাইলট জানালেন, ‘আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। ক্রিকেট বোর্ডের যারা ১০-১৫ বছর ছিলেন তারা অনেক সময় পেয়েছিলেন উন্নয়ন করতে। তবে সেটা পারেননি। সর্বশেষ ছয় মাসেও যেটা হওয়ার কথা ছিল সেটাও হয়নি এখনো। আগে জেলাতে যে লিগ গুলো হতো সেগুলো হচ্ছে না।’
কিছুদিন আগে বোর্ড সভাপতির সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত ছিলেন সাবেক অধিনায়করা। সেখানে জুমে যুক্ত ছিলেন পাইলট। পরামর্শ দিয়েছিলেন কয়েকটিও সেটির বিস্তারিত কথা জানিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘আমি জুমে যুক্ত হয়েছিলাম সেদিনকার মিটিংয়ে। আমি কয়েকটি পয়েন্ট দিয়েছিলাম তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল প্রত্যেকটা জেলায় লিগ শুরু করার জন্য।’
‘পরে আমি স্কুল ক্রিকেট নিয়ে বলেছিলাম যে দেশের তারকা ক্রিকেটার যারা আছে তাদের মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করার জন্য। সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও করে জানানোর জন্য যে স্কুল ক্রিকেটে বড় করার কথা। তারকা ক্রিকেটাররা বলতে পারে সেখানে যে, ‘তোমরা রেডি হও তোমাদেরকে ন্যাশনাল টিমে দেখতে চাই। তোমরাই ভবিষ্যৎ।’