প্রতিবাদে বিক্ষোভ: ভাঙ্গায় শিক্ষার্থীকে শ্লীতহানীর অভিযোগে কম্পিউটার অপারেটর গ্রেপ্তার

প্রতিবাদে বিক্ষোভ: ভাঙ্গায় শিক্ষার্থীকে শ্লীতহানীর অভিযোগে কম্পিউটার অপারেটর গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার, ফরিদপুর : ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার পৌর এলাকার সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির জনৈকা শিক্ষার্থীকে শ্লীতাহানির অপচেষ্টার অভিযোগে একই বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন কম্পিউটার অপারেটর সবুজ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আজ সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর অভিযুক্ত কম্পিউটার অপারেটর সবুজ হাওলাদারকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সহযোগী অপর দুই আসামি বশির ও জনিকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র ও ওই শিক্ষার্থীর নানা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য দেলোয়ার হোসেন জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারিতে) সকালে তার নাতনি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসে। এদিন বিদ্যালয়ের বাবুর্চির ছেলে জনি ও মসজিদের ঈমামের ছেলে বশির মিলে তার নাতনিকে কম্পিউটার অপারেটর সাথে দেখা করতে হবে বলে ক্লাস কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে আসে। বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর সবুজ হাওলাদারের অফিস কক্ষে গেলে জোড় করে চেয়ারে বসিয়ে তার শ্লীতহানি করে।

আরও পড়ুনঃ  বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা

এর আগে মঙ্গলবার সকালে সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে শ্লীতহানির বিচারের দাবীতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে শহরে। বিক্ষোভকারী সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কিছু কিছু শিক্ষকের নীতি নৈতিকতায় এতটাই তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে যে তারা শিক্ষার্থীকে বিয়ে করে ঘর সংসার করার পাশাপাশি জনৈক শিক্ষকের জন্য ইতিপূর্বে হীরামনি নামে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী শ্লীতহানির শিকার হয়ে লজ্জিত হয়ে জীবন বিসর্জন দেয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের দোসরা বহিস্কৃত সেই শিক্ষককে ভাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পুন:বহাল করেন। চলমান ঘটনাসহ সকল ঘটনার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী করেন বিক্ষোভকারী ছাত্র-ছাত্রীরা।

আরও পড়ুনঃ  বড়াইগ্রামে ভুট্টা ক্ষেত থেকে শিশুর বিবস্ত্র ও এসিডে ঝলসানো মৃতদেহ উদ্ধার

ভাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়দার হোসেন বলেন, কম্পিউটার অপারেটর সবুজ হাওলাদার একজন খন্ড কালীন অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরার অংশ বিশেষ বিবেচনায় এবং ওই শিক্ষার্থী পরিবারের অভিযোেগের প্রেক্ষিতে বহিষ্কার করা হয়েছে সবুজ হাওলাদারকে।

আরও পড়ুনঃ  রমনা বটমূলে গানে গানে বর্ষবরণ, গাজায় নিহতদের স্মরণ

ভাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিভাক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট থেকে বিষয়টি তিনি অবগত হওয়ার পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করে তিনি জানতে পারেন অভিযুক্ত কম্পিউটার অপারেটর সবুজ হাওলাদারকে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। কোন নারী শিক্ষার্থী কারো জন্য বিদ্যালয়ে হুমকি হয়ে ওঠে বা নিরাপদ নয় এমন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *