• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • somoyerkotha24news@gmail.com
  • +880-1727-202675

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অর্থায়ন, মানুষ ও ধরিত্রীর উন্নয়ন

প্রকাশ: সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:৩৮

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অর্থায়ন, মানুষ ও ধরিত্রীর উন্নয়ন

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে ২০ ডিসেম্বর ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে ৩ মার্চকে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। তারিখটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এই দিনেই ১৯৭৩ সালে বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ কনভেনশন স্বাক্ষরিত হয়েছিল। প্রতিবছর বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসের জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয় যা সাধারণত বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা, পরিবেশগত ভারসাম্য এবং টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেয়। জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস ২০২৫-এর প্রতিপাদ্য ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অর্থায়ন, মানুষ ও ধরিত্রীর উন্নয়ন’ এই প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
বাংলাদেশে রয়েছে সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য। দেশে ৩৪ প্রজাতির উভচর, ১০৯ প্রজাতির সরীসৃপ, ৩০১ প্রজাতির স্থানীয় পাখি, ১৭৬ প্রজাতির অতিথি পাখি, ১২০ প্রজাতির স্থলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং ৩ প্রজাতির সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। এছাড়া, সুন্দরবন বাঘ, কুমির, হরিণ, ডলফিনসহ অনেক বিরল প্রাণীর আশ্রয়স্থল। টাঙ্গুয়ার হাওর, হাইল হাওর ও হাকালুকি হাওর অতিথি পাখিদের গুরুত্বপূর্ণ অভয়ারণ্য। জলবায়ুর পরিবর্তন বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও হাওরাঞ্চলের জীববৈচিত্র্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। উদাহরণস্বরূপ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল সংকুচিত হচ্ছে। কীটনাশক ও শিল্প বর্জ্যের কারণে নদী ও জলাভূমির বাস্তুতন্ত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে মাছ ও জলজপ্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।
বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার রক্ষা। ২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত টাইগার কনফারেন্সে সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। এর অংশ হিসেবে হরিণ শিকার বন্ধ, বাঘের আবাসস্থল উন্নয়ন এবং নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০১৮-২০২৭ সালের জন্য ‘টাইগার অ্যাকশন প্ল্যান’ প্রণয়ন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। বর্তমানে সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টে তৃতীয় দফা বাঘ গণনার কার্যক্রম চলছে।
বাংলাদেশে মোট ৫৩টি সংরক্ষিত এলাকা রয়েছে, যা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এসব সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে রয়েছে ১০টি জাতীয় উদ্যান, ১৯টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, ৪টি ইকোপার্ক, ১টি বোটানিক্যাল গার্ডেন, ২টি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা (সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড এবং সেন্ট মার্টিন দ্বীপ) এবং ২টি বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা। এসব এলাকার সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বন্যপ্রাণীর টেকসই সংরক্ষণ নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ও উদ্ধার কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বন অধিদপ্তর অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। স্মার্ট পেট্রোলিং ব্যবস্থার মাধ্যমে সুন্দরবনসহ অন্যান্য সংরক্ষিত এলাকায় বন অপরাধ পর্যবেক্ষণ ও দমন করা হচ্ছে। বন অধিদপ্তর ৪৫ হাজার ৬২৭টি বন্যপ্রাণী (উভচর, স্তন্যপায়ী, সরীসৃপ ও পাখি) উদ্ধার করে প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দিয়েছে। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ১ হাজার ৪৪১টি ট্রফি ইস্যু, ১৪০টি মামলা দায়ের, ২ হাজার ৪৪৬টি অপরাধ শনাক্তকরণ, ২২টি বন্যপ্রাণী ফরেনসিক রিপোর্ট প্রস্তুত এবং দুইশত ৮ জন অপরাধীকে জরিমানা ও কারাদণ্ড দিয়েছে। শুধু ২০২৩-২৪ অর্থবছরেই ২ হাজার ৬৭২টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও প্রকৃতিতে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। কোলাবরেটিভ ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে বন নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীকে বন সংরক্ষণে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। সাসটেইনেবল ফরেস্টস এন্ড লাইভলিহুডস প্রকল্পের আওতায় ৬১৫টি কোলাবরেটিভ ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে যা ৪১ হাজার পরিবারকে উপকৃত করছে। এছাড়া, ৪০ হাজার ২৬৪ জন উপকারভোগী বিকল্প আয়ের সুযোগ পেয়েছেন, যার ফলে বন উজাড়ের চাপ কমছে এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ সহজ হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন প্রণয়ন করে, যা দেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ১৯৭৪ সালের পুরনো আইন বাতিল করা হয় এবং বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আরও কঠোর বিধান চালু করা হয়। এই আইনে ৬৫০টিরও বেশি বন্যপ্রাণীকে সংরক্ষিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রয়েল বেঙ্গল টাইগার, এশীয় হাতি, কুমির, গণ্ডার, ডলফিন, সাপ, ঈগলসহ অনেক প্রাণীকে ‘সংরক্ষিত’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সংরক্ষিত প্রাণী হত্যা, ক্রয়-বিক্রয়, পাচার বা ক্ষতিসাধন করলে ২ থেকে ৭ বছর কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। যদি কেউ বাঘ, হাতি, চিতাবাঘ, গণ্ডার, কুমির বা ডলফিন হত্যা করে, তবে সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ড এবং ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। অবৈধভাবে বন্যপ্রাণীর অংশ বা চামড়া সংগ্রহ, পরিবহণ বা বিক্রি করলে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।
বনের জমি ধ্বংস বা বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল নষ্ট করলে শাস্তির বিধান রয়েছে। নির্দিষ্ট এলাকাকে ‘সংরক্ষিত এলাকা’ বা ‘পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ ঘোষণা করা যেতে পারে যেখানে নির্মাণকাজ বা শিল্প কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে। কোনো বন্যপ্রাণী শিকার, হত্যা বা ফাঁদ পেতে ধরার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শিকারজনিত পর্যটন ও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বন্যপ্রাণী হত্যা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আহত বা বিপদগ্রস্ত প্রাণীদের জন্য বন্যপ্রাণী উদ্ধারকেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংরক্ষিত প্রাণীদের পুনর্বাসনের জন্য বন অধিদপ্তর ও বিভিন্ন সংস্থা কাজ করতে পারে। আইন বাস্তবায়নের জন্য বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও পাচার রোধে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশের অভয়ারণ্য ও সংরক্ষিত এলাকাগুলো পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সরকার বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী বেশ কিছু এলাকা সংরক্ষিত ঘোষণা করেছে, যেখানে বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় শিকার, বন নিধন, ও বন্যপ্রাণী নিধন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সুন্দরবন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, সীতাকুণ্ড ইকোপার্কসহ বেশ কিছু সংরক্ষিত এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে যেখানে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সুন্দরবন শুধু বাংলাদেশ নয় বরং সমগ্র বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ জীববৈচিত্র্যের স্থান। এটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের প্রধান আবাসস্থল। এখানে কুমির, হরিণ, ডলফিন, অজগর, বুনো শূকর, ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যায়। ইউনেস্কো ১৯৯৭ সালে এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করে। বন বিভাগ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা সুন্দরবন সংরক্ষণে কাজ করছে। সুন্দরবনকে রিজার্ভ ফরেস্ট ঘোষণা করা হয়েছে এবং বনে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প বেঙ্গল টাইগার কনজারভেশন এক্টিভিটি পরিচালিত হচ্ছে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত। এটি এশীয় ছোট্ট ভালুকের অন্যতম প্রধান আবাসস্থল। এছাড়াও বন্য শূকর, মায়া হরিণ, বনমোরগ, কাঠবিড়ালি ও নানা ধরনের সরীসৃপ দেখা যায়। উদ্যানটিতে ১৬৭ প্রজাতির পাখি ও ২৪৬ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। এটি রামসার সাইট এবং পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকা হিসেবে ঘোষিত। ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যা স্থানীয় জনগণের জন্য বিকল্প জীবিকার সুযোগ তৈরি করছে। সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত। এটি বনজ ও ঔষধি গাছপালার জন্য পরিচিত। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ, সজারু, হনুমান ও পাখির আবাসস্থল রয়েছে। এখানে পর্যটন ও গবেষণার সুবিধা রয়েছে, যা পরিবেশগত সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। নতুন করে গাছ লাগানোর মাধ্যমে বনায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংক অর্থায়িত ‘স্ট্রেন্থেনিং কো-অপারেশন ফর ওয়াইল্ডলাইফ প্রটেকশন’ প্রকল্পের আওতায় বন বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় ও এনজিওরা একত্রে কাজ করছে। এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বন অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর এই প্রচেষ্টাগুলো বন ও বন্যপ্রাণীর টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস ২০২৫-এর প্রতিপাদ্য অনুসারে, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অর্থায়ন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশে এই খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। সরকারি বাজেটে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করা এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিনিয়োগ নিশ্চিত করা। বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড-এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে সংরক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। সংরক্ষিত এলাকায় টেকসই পর্যটনের ব্যবস্থা করে অর্থনৈতিক সুবিধা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত ফলপ্রসু হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। গণমাধ্যম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সাধারণ জনগণকে সচেতন করতে হবে। বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে নিয়মিত গবেষণা করা এবং উপযুক্ত নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি। বন্যপ্রাণী নজরদারি ও পাচার রোধে ড্রোন, স্যাটেলাইট মনিটরিং এবং স্মার্ট ট্র্যাপিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে। বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে আরও কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। শাস্তি নিশ্চিত না হলে অবৈধ শিকার ও পাচার বন্ধ হবে না।
বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেবল পরিবেশ রক্ষার জন্যই নয় বরং টেকসই উন্নয়নের জন্যও অপরিহার্য। বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস ২০২৫-এর প্রতিপাদ্য অনুযায়ী প্রকৃতির সংরক্ষণে অর্থায়ন বৃদ্ধি করতে হবে এবং এর জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি। একমাত্র সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা আমাদের মূল্যবান বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করতে পারবো এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবো।
#

লেখক: মো. খালিদ হাসান,সহকারী তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদফতর, ঢাকা
পিআইডি ফিচার

সর্বশেষ সংবাদ

 

রাজনীতি-এর আরও সংবাদ

 



সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার

ঢাকা অফিস: ১২১,ডি.আই.টি, এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। রাজশাহী অফিস: বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী। ই-মেইল: somoyerkotha24news@gmail.com, মোবাইল: 01727202675