স্টাফ রিপোর্টার : অন্তর্বর্তি সরকারের নিকট তিনদফা দাবি জানিয়ে এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ায় জনভোগান্তি বিবেচনা করে তিনদফা দাবি জানিয়ে রেললাইন অবরোধ প্রত্যাহার করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৫মার্চ) দুপুর ১ টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তারা।
রাবির সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৯-২০২০ সেশনের শিক্ষার্থী মেহেদী সজীব তিনদফা দাবি তুলে ধরে এই কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
তিনদফা দাবি গুলোর মধ্যে রয়েছে,
১. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়,সাত কলেজ, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাসাসহ বাংলাদেশর সকল স্ট্রেটদের রাষ্ট্র সংস্কারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ বাঘায় শীতার্তদের মাঝে শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব আব্দুল মোমিন এর কম্বল বিতরণ
২. সংস্কার কমিশন পিএসসি, ইউজিসিসহ রাষ্ট্রীয় সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলো পূর্ণগঠন করে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
৩.ডিসেন্ট্রালাইজড বাংলাদেশ গঠনে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি রুপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।
বুধবার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন এলাকায় তারা এই অবরোধ শুরু করেন।
এর আগে মঙ্গলবার রেললাইন অবরোধের ডাক দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবির অন্যতম সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার। সকালে তার নেতৃত্বে এ আন্দোলন শুরু হয়।
ডিসেন্ট্রালাইজড বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ও ঢাবি কেন্দ্রীকতার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রেললাইন অবরোধ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীদের দাবি, ইউজিসি থেকে শুরু করে উপদেষ্টা নিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিপত্য রয়েছে। তারা সারাদেশে সমান সুযোগ নিশ্চিত করার দাবি জানান এবং সকল ক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীকরণ চান।
আরও পড়ুনঃ পুঠিয়া রাজবাড়ীতে শিক্ষা সফরে আসা পর্যটকের উপর স্থানীয় বখাটেদের হামলা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমরা এই বৈষম্য মেনে নেব না। পিএসসি থেকে শুরু করে ইউজিসি পর্যন্ত সব প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন চাই।’
এদিকে এই অবরোধে সারাদেশের সাথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার শহিদুল আলম বলেন, সকাল থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। অবরোধ চলা অবস্থায় সব ট্রেন রাজশাহী স্টেশন ও হরিয়ান স্টেশনে আটকা থাকে। অবরোধ উঠে যাওয়াতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।