• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • ৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • somoyerkotha24news@gmail.com
  • +880-1727-202675

রাজশাহী দারুস সালাম কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সংবদ সম্মেলন

প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫ ৯:১১

রাজশাহী দারুস সালাম কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সংবদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী দারুস সালাম কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মোহা: শহীদুল ইসলামকে স্ব-পদে দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থা গ্রহণের মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারি ও সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করেছন শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী মুনসুর রহমান। তিনি উল্লেখ করেন ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহি দ্বীনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সারা দেশে এই মাদরাসার পরিচিতি আছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, অত্র মাদরাসার অধ্যক্ষ পদে কেউ স্থায়ী হতে পারেন না। এ পর্যন্ত যতজন অধ্যক্ষ এসেছেন সবার বিরুদ্ধেই একদল ষড়যন্ত্রকারী সবসময় চক্রান্ত করেছে। যার ফলে এই মাদরাসার সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে এবং শিক্ষার মান দিন দিন কমে গেছে। তিনি বলেন, দোষেগুনেই মানুষ, বর্তমান অধ্যক্ষ ড. মোহা: শহীদুল ইসলাম গত ২০/০৮/২০০২ ইং তারিখে অত্র মাদরাসার অধ্যক্ষ পদে যোগদান করে যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনিও একশ্রেণির ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে সাময়িক বরখাস্ত হলে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দীর্ঘদিন বাহিরে ছিলেন। তিনি গত ০৭/০৫/২০১৮ তারিখে হাইকোর্টের রায়ের পর ১৮/১২/২০১৮ তারিখ থেকে গভর্ণিং বডির সিদ্ধান্তক্রমে অধ্যক্ষ পদে পূণর্বহাল হয়ে সুচারু রূপে অদ্যবধি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে মাদরাসা পরিচালনা করে আসছিলেন। তিনি মাদরাসার শিক্ষার মান উন্নয়ন, শিক্ষার্থী বৃদ্ধিকরণ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন, শিক্ষকদের জন্য কল্যাণভাতা ও পিএফ চালুকরণসহ অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। হঠাৎ গত ০৫ আগষ্ট অভ্যুত্থানের সময় একদল দুর্বৃত্ব ব্যক্তিগত শত্রুতার জের হিসেবে তাঁর উপর আঘাত করলে আহতাবস্থায় তিনি একমাসের ছুটির দরখাস্ত দিয়ে অনুমতি সাপেক্ষে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এসময়ে অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে স্বাভাবিক নিয়মে উপাধ্যক্ষ মাদরাসার দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উপাধ্যক্ষ কতিপয় শিক্ষক ও ছাত্রের মাধ্যমে মাদরাসার পরিবেশ নষ্ট করেন এবং অধ্যক্ষের রুমে তালা মেরে জোর পূর্বক দখলে নিয়ে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত দাবী করেন। এ ক্ষেত্রে মাদরাসার অভ্যান্তরে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারিদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে এবং শিক্ষার মান ব্যহত হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে এবিষয়ে গত ০৬/১০/২০২৪ ইং তারিখের একটি আবেদন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের দপ্তরে ০৭/১০/২০২৪ ইং তারিখে জমা হলে ২০/১০/২০২৪ ইং পরিপত্রের মাধ্যমে উপাধ্যক্ষের নিকট ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। যার কারণে গত ১৮/১১/২০২৪ ইং তারিখে আরেকটি আবেদন জমা করলে ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি. পরিপত্রে তিন সদস্যের এই তদন্ত টিমকে উপরোক্ত বিষয়গুলো সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন পেশ করার জন্য বলা হয়। এই তদন্ত টিমের রিপোর্ট জমা হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসক রাজশাহীকে পরিপত্র জারি করা হয়। তা হলো মহামান্য হাইকোর্ট ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এর আদেশ অনুযায়ী তিনি বৈধ অধ্যক্ষ। আদালাতের আদেশ অবজ্ঞা করার অধিকার আমাদের কারোও নেই। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ অসত্য, কোনটিই প্রমানীত নয়। গত ২৫/০৮/২০২৪ তারিখে গঠিত তদন্ত টিম নিরপেক্ষ ছিলনা বিধায় ১৮/০৯/২০২৪ তারিখে আরেকটি তদন্ত টিম গঠিত হয়েছিল। সাময়িক বরখাস্থ করা হয়েছে মর্মে যে প্রচার করা হচ্ছে তা বানোয়াট, কারণ এপর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করেননি, কোন সিদ্ধান্ত হয়নি এবং কোন লিখিত পত্র তার নিকটে এখন পর্যন্ত আসেনি। আগষ্ট অভ্যুত্থানের পর তার ছুটি চলাকালীন সময়ে বেতনবিল, ব্যাংকচেক, ফাইলনোট ও রিকুইজিশনে তার স্বাক্ষর ও সীল প্যাড ব্যবহার হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে উপাধ্যক্ষ দায়িত্ব পালন করাকালীন কতিপয় শিক্ষক ও ছাত্রের মাধ্যমে মাদরাসার পরিবেশ নষ্ট করেন এবং অধ্যক্ষের রুমে তালা মেরে দখলে নিয়ে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবী করেন। যদিও অধ্যক্ষ স্যার কয়েকদফা উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করেছেন। এব্যাপারে ছুটির দরখাস্ত, মেডিক্যাল সনদ রয়েছে, বর্তমানে এডহক কমিটির সভায় ছুটি মঞ্জুর করিয়ে তাকে স্বপদে বহাল করা যায়। আরো উল্লেখ করা হয় উপাধ্যক্ষ জাকির হোসেন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বামনেতা রাশেদ খান মেননের সুপারিশে বিশেষ তদবিরে ২০১৮ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত। সে সময়ে মুফতি আব্দুল হালিম খান ও ড. কুদ্দুসুর রহমান নিয়োগ বোর্ডে প্রথম স্থান পাওয়ার পরও ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা তাদের নিয়োগ দেননি। এ অবস্থা চলমান থাকায় মাদরাসাটি আরও বড় ক্ষতির দিকে চলে যাচ্ছে। মাদরাসার সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে অধ্যক্ষ ড. মোহা: শহীদুল ইসলামকে স্ব-পদে দায়িত্ব পালনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসক রাজশাহীর নিকট অনুরোধ করেন তারা। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন মিজানুর রহমান, আব্দুর রহিম, রেদুয়ান খাঁন, ইসাহাক ইসলাম ও আবু তালেবসহ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

সর্বশেষ সংবাদ

নেইমারকে নিয়েই ব্রাজিলের দল ঘোষণা
বৃহস্পতিবার, মার্চ ৬, ২০২৫ ৩:৪৭
কাবাডিতে একইদিনে হারের পর জয় বাংলাদেশের
বৃহস্পতিবার, মার্চ ৬, ২০২৫ ৩:৪৭
 

রাজনীতি-এর আরও সংবাদ

 



সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার

ঢাকা অফিস: ১২১,ডি.আই.টি, এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। রাজশাহী অফিস: বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী। ই-মেইল: somoyerkotha24news@gmail.com, মোবাইল: 01727202675