অনলাইন ডেস্ক : ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে শোরগোল পড়েছে গোটা বিশ্বে। দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হয়েই তিনি অন্যান্য দেশের উপর পাল্টা শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নেন। নতুন শুল্কনীতি আরোপের ব্যাপারে ট্রাম্প আলাদা করে বার বার ভারতের কথা বলেছেন।
শুল্ক-বিতর্কে এ বার সংসদে জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতিন প্রসাদ। তিনি জানান, আমেরিকার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে ভারত। উভয় দেশই পারস্পরিক ভাবে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং সম্প্রসারণের জন্য সমঝোতার চেষ্টা করেছে। বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রীর দাবি, এখনও পর্যন্ত ভারতের উপর আমেরিকা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে শোরগোল পড়েছে গোটা বিশ্বে। দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হয়েই তিনি অন্যান্য দেশের উপর পাল্টা শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নেন। ঘোষণা করেন, যে দেশ মার্কিন পণ্যের উপর যত শুল্ক নেয়, আমেরিকাও সেই দেশের উপর তত পরিমাণই আমদানি শুল্ক চাপাবে। ট্রাম্পের ‘ইটের বদলে পাটকেল’ নীতি নিয়ে আলোচনা চলছে বিশ্ব জুড়ে। নতুন শুল্কনীতি আরোপের ব্যাপারে ট্রাম্প আলাদা করে বার বার ভারতের কথা বলেছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আগামী ২ এপ্রিল থেকে ভারতীয় পণ্যের উপর আমেরিকা পাল্টা আমদানি শুল্ক চাপাবে।
তার পর থেকেই ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে টানাপড়েন চলছে। দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল আমেরিকা গিয়েছিলেন। সেই সফরের শেষেই ট্রাম্প একতরফা ঘোষণা করে দেন, ভারত শুল্ক কমাতে রাজি। যদিও ট্রাম্পের এই দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যসচিব সুনীল বার্থওয়াল সোমবার সংসদীয় কমিটিকে জানান, শুল্ক নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে দর কষাকষি চলছে। ভারতের তরফ থেকে শুল্ক কমানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি।
সংসদে এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে জিতিন বলেন, ‘‘উভয় দেশই (ভারত এবং আমেরিকা) বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনার পরিকল্পনা করছে। উভয় দেশই তাদের বাজারে পণ্যের প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি, সরবরাহশৃঙ্খল ঠিক করা এবং শুল্ক-বাধা কমানোর উপর মনোনিবেশ করবে। এটি একটি চলমান অনুশীলন।’’
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ট্রাম্প। মোদীর ওই সফরেই আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বহর ৫০,০০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার জন্য চুক্তি করেছে ভারত এবং আমেরিকা। তবু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বার বার স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, প্রতিদ্বন্দ্বীদের তো বটেই, বাণিজ্য সহযোগীদের উপরেও পাল্টা আমদানি শুল্ক বসাতে চলেছে তাঁর প্রশাসন।