শিবগঞ্জ প্রতিনিধি : কারাভোগ শেষেও আটকে থাকা ভারতীয় ও বাংলাদেশী জেলবন্দীদের পরিবারের কাছে পৌচ্ছে দেয়ার কাজ করে যাওয়া বাঙালি বজরঙি ভাইজান খ্যাত ঢাকার শামসুল হুদার উদ্যোগে এবার পরিবারের কাছে ফিরল, বিজলি কুমার রায় নামে এক ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকাল ৩টার দিকে সোনামসজিদ ইমিগ্রেশনের দু-দেশের শূণ্য রেখায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে, ছোট ভাই বিজলি ও রায়ের মরদেহ গ্রহন করেন, বড় ভাই বাদরী রায়। এসময় বিজিবির বিওপি কমান্ডার আবু সাঈদ, মহদীপুর বিএসএফ কমান্ডার সন্তোস কমুার সিং, মহদীপুর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা অলক ভৌমিক, রাজশাহী ডেপুটি জেলার আনিফ আহমেদসহ অনান্যরা উপস্থিত ছিলেন। বজরঙি ভাইজান খ্যাত ঢাকার শামসুল হুদা বিজলি কুমার রায়ের বিষয়টি জানতে পেরে, তার পরিবারকে খুজে বের করেন। পরে সংস্লষ্টি কতৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে তার মরদেহ ভারতে পৌচ্ছানোর ব্যবস্থা করেন।
কারাসূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ১ বছর সাজা ভোগের পর, ঠিকানা ভুলের কারনে ভারতে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি বিজলি কুমার রায়কে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগারে থাকা অবস্থায় গত ১৩ জানুয়ারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ১৫ জানুয়ারি।
বাঙালি বজরঙি ভাইজান খ্যাত ঢাকার শামসুল হুদা জানান, বিজলীর ঠিকানা নিশ্চিত হওয়ার পর সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে, তার বড় ভাই বাদরী রায়ের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ পর্যন্ত এ ধরনের ৫২টি কেসের মধ্যে ৪৩ জনকে তাদের স্বজনদের কাছে পৌঁচ্ছানোর কাজ শেষ করেছেন। এ কাজ তিনি মনের প্রশান্তির জন্য করে যাচ্ছেন বলে জানান।
ছোট ভাইয়ের মরদেহ ফেরতের পেতে, বাদরী রায় বলেন আমার ভাই পথ ভুলে বাংলাদেশে চলে এসেছিলো, আমরা অনেক খুজেও পায়নি। যখন শামসুল ভাই আমাদের জানালেন ভাই জেলে আছে, এরপর সকল পক্রিয়া শেষ করতে করতেই ভাই অসুস্থ হয়ে মারাও যায়। জীবিত না হলেও, মৃত ভাইকে পেলাম, এটা শামসুল ভাই না হলে সম্ভব হত না। সারাজীবন তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।