Home মতামত ও সম্পাদকীয় জীবিকা নির্ভর কৃষি থেকে বাণিজ্যিক কৃষি

জীবিকা নির্ভর কৃষি থেকে বাণিজ্যিক কৃষি

জীবিকা নির্ভর কৃষি থেকে বাণিজ্যিক কৃষি

বাংলাদেশের অর্থনীতি ঐতিহাসিকভাবেই কৃষিনির্ভর। একসময় কৃষি শুধু জীবিকা নির্বাহের উপায় হিসেবে গণ্য হলেও, আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন, সরকারি নীতি সহায়তা ও বাজার বিস্তৃতির মাধ্যমে বর্তমানে কৃষিখাত একটি সম্ভাবনাময় বাণিজ্যিক খাতে রূপ নিচ্ছে। এই রূপান্তর শুধু কৃষকের জীবনে পরিবর্তন আনছে না, বরং দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক কাঠামোকেও করে তুলছে শক্তিশালী ও টেকসই। বাংলাদেশে ফসল উৎপাদনে ধারাবাহিক অগ্রগতি লক্ষণীয়। প্রধান খাদ্যশস্য ধান ছাড়াও গম, ভুট্টা, ডাল ও তৈলবীজের উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। আধুনিক কৃষিযন্ত্রপাতি যেমন কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার, পাওয়ার টিলার ইত্যাদি কৃষিখাতে ব্যবহারের ফলে উৎপাদনশীলতা যেমন বেড়েছে, তেমনি খরচ কমে কৃষির লাভজনকতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
পরিবেশবান্ধব পাট পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে পাট চাষ আবারও অর্থনৈতিক গুরুত্ব পাচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট ৭ দশমিক ৪৬ লক্ষ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। পাট এখন শুধু গামছা, বস্তা কিংবা দড়িতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং জুট ফেব্রিক, জুট ইয়ার্ন, পর্দা, কম্বল, কার্পেট, এমনকি আন্তর্জাতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানসমূহ গাড়ির ইন্টেরিয়রে পাট ব্যবহার করছে। এর ফলে পাটশিল্পে গবেষণার গুরুত্বও বেড়েছে, এবং কৃষির পাশাপাশি শিল্পখাতেও পাট অবদান রাখতে শুরু করেছে। কৃষিখাতকে বাণিজ্যিক পর্যায়ে উন্নীত করতে কৃষিঋণের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি ও গ্রামীণ ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫ হাজার কোটি টাকা, যার বিপরীতে বিতরণ হয়েছে ৩৭ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা—লক্ষ্যমাত্রার ১০৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। এর পূর্ববর্তী অর্থবছর ২০২২-২৩ এ বিতরণ হয়েছিল ৩২ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা। শুধু বিতরণ নয়, ঋণ পরিশোধের হারও উল্লেখযোগ্য; ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঋণ পুনরুদ্ধার হয়েছে ৩৫ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। এসব উপাত্ত প্রমাণ করে যে কৃষকরা এখন ঋণ গ্রহণ করে ব্যবসাভিত্তিক চিন্তায় চাষাবাদ পরিচালনা করছেন এবং অর্থনৈতিকভাবে আরও বেশি সচেতন হচ্ছেন।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন ৫০ দশমিক ৮০ লক্ষ মেট্রিক টনে পৌঁছেছে, যা প্রতিদিন মাথাপিছু গড় চাহিদা (৬০ গ্রাম) অপেক্ষা অনেক বেশি (৬৭ দশমিক ৮০ গ্রাম)। এই সাফল্যের মূল কারণ হলো সময়োপযোগী পরিকল্পনা, উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যকর বাস্তবায়ন এবং দেশজ জলজ সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা। আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থানও গৌরবজনক—বিশ্বব্যাপী অভ্যন্তরীণ মুক্তজলে মাছ আহরণে বাংলাদেশ দ্বিতীয় এবং জলজ খামারে মাছ উৎপাদনে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। বিশেষভাবে ইলিশ মাছের অবদান এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মোট মাছ উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে, যা একক প্রজাতি হিসেবে সবচেয়ে বেশি। ২০১০-১১ অর্থবছরে যেখানে ইলিশ উৎপাদন ছিল ৩ দশমিক ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭১ লক্ষ মেট্রিক টনে—যা ৬৮ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে হাইলসা ম্যানেজমেন্ট অ্যাকশন প্ল্যান, সাত হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা, ছয়টি ইলিশ অভয়াশ্রম, নিষিদ্ধ মৌসুমে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা এবং জেলেদের জন্য বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা ইত্যাদি।
প্রাণিসম্পদ খাতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের দুধ উৎপাদন হয়েছে ১৫০ দশমিক ৪৪ লক্ষ মেট্রিক টন, যা বিগত এক দশকে ২ দশমিক ১৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রতিদিন মাথাপিছু প্রাপ্তি দাঁড়িয়েছে ২৩৪ দশমিক ৪৫ মিলিলিটার। একই বছরে মাংস উৎপাদন হয়েছে ৯২ দশমিক ২৫ লক্ষ মেট্রিক টন, যা এক দশকে ১ দশমিক ৫৭ গুণ বৃদ্ধি। এছাড়া ডিম উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ২৩৭৪ হাজার ৯৭ কোটি, যা পূর্বের তুলনায় ২ দশমিক ১৬ গুণ বেশি এবং বছরে মাথাপিছু ডিম গ্রহণ ১৩৫ দশমিক ৯টি। এই উন্নয়নের পেছনে রয়েছে সরকারি নীতি সহায়তা, গ্রান্ড প্যারেন্ট ও প্যারেন্ট স্টক খামারের সম্প্রসারণ, আধুনিক ফিড উৎপাদনে বিনিয়োগ এবং আবহাওয়া সহিষ্ণু জাতের লেয়ার মুরগি। এছাড়া স্কুলে দুধ পান কর্মসূচি, ৩৬০টি মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক, পশু চিকিৎসায় ই-ভেট অ্যাপ, পশু খাদ্য বিশ্লেষণ ও কোল্ডচেইন সুবিধা খাতটিকে আধুনিকায়নের পথে এগিয়ে নিয়েছে।
গবাদি পশুর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম অত্যন্ত কার্যকর হয়েছে। বর্তমানে দেশে ৬ হাজার ৬২৬টি কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র বা পয়েন্ট থেকে এই সেবা দেওয়া হচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৪৫ দশমিক ৪৭ লাখ গুণগত মানের বীজ উৎপাদন করা হয়েছে এবং ৩৮ দশমিক ৮১ লাখ গাভী ও বকনা গরুতে প্রজনন করানো হয়েছে, যার ফলশ্রুতিতে প্রায় ১৬ দশমিক ৯৫ লাখ সংকর বাছুর জন্মগ্রহণ করেছে। একই বছরে গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগিকে ১৭টি রোগের বিরুদ্ধে ৩২ দশমিক ৯৯ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। ট্রান্সবাউন্ডারি রোগ প্রতিরোধে ২৪টি পশু কোয়ারান্টাইন স্টেশন কাজ করছে। তাছাড়া ৯ হাজার ৭৪৫টি রোগ নজরদারি কার্যক্রম এবং ১১ দশমিক ৮৬ কোটি প্রাণী ও ৭১ হাজার ৪৪৯টি পোষা প্রাণীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে মোট ৩৭,১৮৪ দশমিক ৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও কৃষি উপকরণ, বিশেষ করে সার ভর্তুকির জন্য আরও ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বরাদ্দের মধ্যে জুন ২০২৪ পর্যন্ত ২৪,৩৪৩ দশমিক ৫১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। বীজ উৎপাদনের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১৬০ কোটি টাকা। কৃষিভিত্তিক শিল্পের জন্য ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ বিল ছাড়ের সুবিধা চালু রয়েছে। এইসব নীতির কারণে কৃষিখাত এখন আর শুধু জীবিকার জন্য নির্ভরশীল নয়, বরং এটি বাণিজ্যিক সম্ভাবনাময় একটি খাত হয়ে উঠছে।
কৃষির আধুনিকায়নে সরকার নানাবিধ উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে আছে কৃষি গবেষণা, প্রশিক্ষণ, বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ, কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ, সেচ ও সেচ অবকাঠামো উন্নয়ন, ফসলের বাজারজাতকরণ ইত্যাদি। ডিজিটাল কৃষির আওতায় চালু হয়েছে অনলাইন কৃষি তথ্য সেবা, ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র, কমিউনিটি রেডিও, ও কৃষিপণ্যের বাজার তথ্য অনলাইনে প্রদর্শনের ব্যবস্থা। কৃষিকে বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক করতে হলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বৈদেশিক বাজারে কৃষিপণ্যের প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, কলা, শাকসবজি, আলু, পাটজাত পণ্য, মাছ এবং মাংস রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট, হিমায়িত পণ্য পরিবহণ, রপ্তানি উপযোগী প্যাকেজিং ও সংরক্ষণাগার নির্মাণে সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো নিরলসভাবে কাজ করছে। এভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে কৃষিপণ্যের অবস্থান সুদৃঢ় হওয়ার মাধ্যমে কৃষিকে একটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাতে রূপান্তর করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
দেশে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ সীমিত হওয়ায় কৃষিকে টেকসই রাখতে সঠিক ভূমি ব্যবহার অপরিহার্য। অধিক ফলনশীল জাত, সাথি ফসল চাষ, জমি বিশ্রামের পরিবর্তে ঘন শস্যচক্র ও জলাভূমির ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একই জমি থেকে বারবার উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করে টেকসই কৃষি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জৈব সার ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ, এবং ক্ষতিকর কৃষি অনুশীলন বন্ধে প্রণোদনা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। কৃষিতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন বৃষ্টিনির্ভর সেচ, সৌরচালিত পাম্প ও জৈব সার উৎপাদন ব্যবস্থাও ক্রমেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আধুনিক কৃষির রূপান্তরে নারীর অংশগ্রহণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বীজ সংরক্ষণ, নার্সারি, পশুপালন, হাঁস-মুরগি পালন, দুধ প্রক্রিয়াজাতকরণ, হস্তশিল্প, প্যাকেজিং এবং বাজারজাতকরণে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। কৃষিখাতে নারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, ক্ষুদ্রঋণ সুবিধা ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনেক নারী উদ্যোক্তা এখন কৃষিপণ্যের অনলাইন বিপণন ও রপ্তানি ব্যবসাতেও যুক্ত হচ্ছেন, যা বাণিজ্যিক কৃষির বিস্তারে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
প্রাথমিক উৎপাদন পর্যায় থেকে কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণে রূপান্তর করা হলে কৃষকের আয় বহুগুণে বৃদ্ধি সম্ভব। বর্তমানে দেশজুড়ে গড়ে উঠেছে অগণিত কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প যেমন চালকল, ডেইরি প্রসেসিং ইউনিট, মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা, মাছ ফ্রোজেন প্ল্যান্ট, আচার ও জ্যাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। কৃষিপণ্যের মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে শুধু পণ্যের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায় না, বরং পণ্যের বাজারমূল্যও বৃদ্ধি পায়। সরকারিভাবে এই খাতে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন কর ছাড়, ব্যাংক ঋণ ও রপ্তানি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে, যা তরুণ উদ্যোক্তাদেরকে কৃষি শিল্পে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। ঘূর্ণিঝড়, খরা, অতিবৃষ্টি, বন্যা ও লবণাক্ততা কৃষিখাতকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। তবে এসব প্রতিকূলতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সরকার ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ জলবায়ু সহনশীল জাত উদ্ভাবন, আধুনিক চাষ পদ্ধতি, কৃষি বীমা, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পূর্বাভাস সরবরাহ ও কৃষকের সক্ষমতা বৃদ্ধির নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। জলবায়ু অভিযোজন কৌশলের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষির ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস পাচ্ছে এবং কৃষকরা আগাম প্রস্তুতি গ্রহণে সক্ষম হচ্ছে।
বাংলাদেশে এখন কৃষিখাতে প্রযুক্তিনির্ভরতা দিনে দিনে বাড়ছে। ড্রোন ব্যবহার করে সার প্রয়োগ, স্মার্টফোনে কৃষি অ্যাপের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় ও পরামর্শ গ্রহণ, ব্লুটুথ সেন্সরভিত্তিক সেচ ব্যবস্থা, এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক পূর্বাভাস প্রযুক্তি খাতে রূপান্তর এনেছে। কৃষিতে আইওটি, বিগ ডেটা এবং স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ব্যবহার করে খামারের সুনির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী পরিকল্পনা করা যাচ্ছে। স্মার্ট কৃষির মাধ্যমে কম খরচে বেশি ফলন এবং পরিবেশবান্ধব উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে, যা আগামী দিনের কৃষিকে আরও দক্ষ ও লাভজনক করে তুলবে।
বাংলাদেশে কৃষি এখন আর শুধুই জীবিকার মাধ্যম নয়, বরং একটি সুসংগঠিত, প্রযুক্তিনির্ভর, ও লাভজনক বাণিজ্যিক খাতে রূপ নিচ্ছে। সরকারের দূরদর্শী পরিকল্পনা, কৃষকের কঠোর পরিশ্রম ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে এই রূপান্তর সম্ভব হয়েছে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে এই বাণিজ্যিক কৃষির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে এই ধারা বজায় থাকলে বাংলাদেশ বিশ্বে কৃষিখাতে একটি আদর্শ দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।

লেখক: মো. খালিদ হাসান
সহকারী তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদফতর
পিআইডি ফিচার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here