যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হুমকি বন্ধ করলে পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি ইরান

যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হুমকি বন্ধ করলে পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি ইরান

অনলাইন ডেস্ক : পরমাণু ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা চলছে যুক্তরাষ্ট্রের। এমনকি পরমাণু চুক্তি না করলে দেশটিতে সরাসরি হামলার হুমকিও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে পরমাণু ইস্যুতে সরাসরি কোনও ধরনের আলোচনায় বসতেও অস্বীকার করেছিল তেহরান।

তবে ইরান এখন তার সুর পরিবর্তন করেছে। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হুমকি দেওয়া বন্ধ করলে পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি আছে তেহরান। এছাড়া ট্রাম্প সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার কথা বললেও তেহরান এখনও পরোক্ষ আলোচনার কথাই বলছে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

আরও পড়ুনঃ  পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা বাংলাদেশের থেকেও খারাপ : শুভেন্দু

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, “চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে” আগামী শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত ইরান। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রথমে একমত হতে হবে যে, (ইরানের বিরুদ্ধে) কোনও “সামরিক বিকল্প” থাকতে পারে না।

আরাঘচি আরও বলেছেন, ইরান “কখনোই জোর-জবরদস্তি মেনে নেবে না”। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ওমানে আসন্ন ওই আলোচনা হবে পরোক্ষ। গত সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইরানের সঙ্গে “প্রত্যক্ষ আলোচনা” ঘোষণার বিপরীতে একথা জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  ভারতে হাসপাতালের আইসিইউতে যৌন হয়রানির শিকার বিমানবালা

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ২০১৫ সালে ইরান এবং ৬ বিশ্বশক্তির মধ্যে সম্পাদিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে আমেরিকাকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আলোচনা সফল না হলে ইরান “বড় বিপদে” পড়বে।

মূলত আমেরিকা এবং ইরানের মধ্যে কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, তাই গত মাসে ট্রাম্প সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। এতে বলা হয়েছিল, তিনি ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে এবং আমেরিকা ও ইসরায়েলের সম্ভাব্য সামরিক হামলা এড়াতে একটি চুক্তি চান।

আরও পড়ুনঃ  পারমাণবিক বোমার মালিক হওয়া থেকে দূরে নেই ইরান

এরপর গত সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর হোয়াইট হাউস সফরের সময় ট্রাম্প আসন্ন আলোচনার কথাও প্রকাশ করেন। নেতানিয়াহু মঙ্গলবার বলেন, “ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে না” বলে উভয় নেতা সম্মত হয়েছেন।

এছাড়া আলোচনা দীর্ঘায়িত হলে “সামরিক বিকল্প” থাকবে বলেও জানান তিনি।

ইরান অবশ্য বরাবরই জোর দিয়ে বলেছে, তার পারমাণবিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং তারা কখনও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বা অর্জনের চেষ্টা করবে না।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *