অনলাইন ডেস্ক : দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে দ্বিতীয় সেশনে দলের হাল ধরলেন উইলিয়ামস-মাধেভেরে জুটি। দুজনের ৭৯ বলে ৪৮ রানের পঞ্চম উইকেট জুটিতে বেশ ভালোই প্রতিরোধ গড়ে দলটি।
শেষ পর্যন্ত জুটি ভাঙলেও এরই মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ১৯১ রান টপকে গেছে সফরকারীরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৯৩। তাদের লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ রান।
দলের লিড নিশ্চিত হওয়ার পর রান বাড়ানোর দিকেই হয়তো মনোযোগ ছিল শন উইলিয়ামসের। বড় শর্ট খেলতে গিয়েই উল্টো বিপদ বাড়ালেন। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লং অফ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে চেয়েছিলেন উইলিয়ামস। ঠিকঠাক ব্যাটে সংযোগ ঘটাতে পারলেন না। দারুণ ক্যাচ তালুবন্দী করেন মাহমুদুল হাসান জয়।
সাজঘরে ফেরার আগে ১০৮ বলে দুই ছক্কা ও ছয় চারের মারে ৫৯ রান করেছেন উইলিয়ামস। এর আগে লিড নেওয়ার আগমুহূর্তে খালেদের বলে ইনসাইড এজড হয়ে ৩৩ বলে ২৪ রানের মাথায় ফিরেছিলেন মাধভেরে। গতকাল শেষ বিকেলে দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট এবং বেন কারেনের অবিচ্ছিন্ন জুটির পর মূলত উইলিয়ামস-মাধেভেরের ব্যাটেই লিড পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।
এখন সফরকারী দলের শেষ দিকের ব্যাটাররা চাইবেন যতটা পারা যায় লিডটা বাড়িয়ে নিতে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের লক্ষ্য থাকবে যত দ্রুত গুটিয়ে দেওয়া যায়।
এর আগে সিলেট টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৯১ রানের পুঁজি গড়তে পেরেছিল বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে। ১০৫ বলে ৫৬ রান করেন তিনি। এ ছাড়া ৬৯ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
যে পিচে বাংলাদেশের ব্যাটাররা খাবি খাচ্ছিল, সিলেটে শেষ বিকেলে সেখানেই যেন ব্যাটারদের জন্য আদর্শ উইকেট হয়ে দাঁড়ায়। কোনো উইকেট না হারিয়েই দলীয় ৬৭ রানে দিন শেষ করে সফরকারী ব্যাটাররা। এমন অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে একেবারে শুরু থেকেই ভালো কিছু করার বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের। দলকে পথ দেখালেন তরুণতুর্কি নাহিদ রানা।
সিরিজ শুরুর আগে থেকেই নাহিদকে নিয়ে ছিল খোঁচাখুঁচি। বাংলাদেশি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক বলেছিলেন, নাহিদের চেয়ে দ্রুতগতির বল তারা মেশিনেই অনুশীলন করেন। আর বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল শান্ত বলেছিলেন, ক্রিজে নামলেই কেবল বোঝা যাবে নাহিদের গতির মাহাত্ম্য।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই গতির ঝলক দেখালেন নাহিদ রানা। দিনের তৃতীয় ওভারে নাহিদের বাউন্সারে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বেন কারেন। ফিফটি তুলে নেওয়া বেনেটকেও বেশি সময় ক্রিজে টিকতে দেননি রানা। বেনেটকে বাধ্য করেছিলেন স্কয়ার কাট করার জন্য। আর সেটা ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ গেল জাকের আলীর কাছে। খানিক বাদে উইকেটের মিছিলে যোগ দেন হাসান মাহমুদ। দারুণ এক ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড করেন ওয়েলচকে।
এখন পর্যন্ত ৩ উইকেট শিকার করেছেন নাহিদ রানা। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছে হাসান মাহমুদ, খালেদ আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।