পাগলা মসজিদে তিন ঘণ্টায় পাওয়া গেল ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা

পাগলা মসজিদে তিন ঘণ্টায় পাওয়া গেল ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা

অনলাইন ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার পাওয়া গেছে ২৮ বস্তা টাকা। তিন ঘণ্টার গণনা শেষে এখন পর্যন্ত ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। এখনো চলছে টাকা গণনার কাজ।

শনিবার (১২ এপ্রিল) ১২টা পর্যন্ত গণনা শেষে এ টাকা পাওয়া গেছে। রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মোহাম্মদ আলী হারিসী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সকাল ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়। পরে বস্তায় ভরে মসজিদের দ্বিতীয় তালার মেঝেতে এনে সকাল ৯টায় গণনা শুরু করা হয়। সেই হিসাবে ৩ ঘণ্টায় ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা গণনা করা হয়েছে। এই টাকাগুলো নিরাপত্তার মাধ্যমে রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  ফ্যাসিস্ট আ.লীগ ৭১ দখলের মতো বাংলা নববর্ষও দখল করে রেখেছিল : শামা ওবায়েদ

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এবার আমরা ৪ মাস ১২ দিন পর দানবাক্স খুলেছি। এবার ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। ব্যাংক কর্মকর্তা ও মাদরাসার ছাত্ররা টাকা গণনার কাজ করছেন।

এর আগে, গত বছরের ৩০ নভেম্বর দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। গণনা শেষে তখন রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা সংগ্রহ হয়েছিল। প্রায় ১০ ঘণ্টায় ৪০০ জনের একটি দল এ টাকা গণনার কাজ করেছিলেন। সঙ্গে ছিল স্বর্ণালংকার, বৈদেশিক মুদ্রা, এমনকি রুপার অলংকারও।

আরও পড়ুনঃ  ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা দিয়ে রাবির ভর্তিযুদ্ধ শুরু, আসনপ্রতি লড়বেন ৭৬ জন

মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৭টার দিকে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের ৯টি দানবাক্স ও ২টি ট্রাঙ্ক খোলা হয়েছে। সেগুলো খুলে ২৮টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় আনা হয়েছে গণনার জন্য। এখনো চলছে টাকা গণনার কাজ।

আরও পড়ুনঃ  বড়াইগ্রামে ভুট্টা ক্ষেত থেকে শিশুর বিবস্ত্র ও এসিডে ঝলসানো মৃতদেহ উদ্ধার

মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেন, এখানে একটি আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স ও মসজিদ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যা বাস্তবায়নে প্রাথমিক কর্মকাণ্ড চলমান। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু হবে। যার নাম হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। সেখানে ৩০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। এবার দানের টাকা অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *