মোহা: আসলাম আলী, বাঘা : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের চকরাজাপুর বাজার সংলগ্ন পদ্মা নদীতে রাতে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিনিয়ত এই কাজ করছে একদল অসাধু জেলে চক্র। এতে করে প্রাকৃতিকভাবে মাছের বংশবিস্তার বাঁধাগ্রস্তসহ জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে অশংখ্যা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয়রা জানান, রাতে নৌকাযোগে পদ্মা নদীতে যায় ওই অসাধু জেলে চক্র। পরে নদীতে বাঁশের খুঁটি গেড়ে তাতে ছোট্র একটি পলিথিনে করে বিষ বেঁধে দেয় তারা। বিষ প্রয়োগ করার কিছুক্ষণ পরেই মাছ মরে ভেসে উঠে উপরে। তখন ভেসে উঠা মরা মাছ গুলো জাল দিয়ে নৌকায় উঠায়। এক ঘণ্টার মধ্যে নদীর কয়েক জায়গা বিষ প্রয়োগ করে এভাবে বিপুল পরিমাণ মাছ শিকার করেন তারা। সেই মাছগুলো ভোররাতে উপজেলা বাঘা বাজার-সহ পাশ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন বাজারে নিয়ে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এভাবে বিষ দিয়ে মাছ মারলে নদীতে কোন মাছ থাকবে না। যার কারণে দেশে মাছের অভাব দেখা দিতে পারে এবং বিষ মিশ্র মাছ খেয়ে মানুষ অসুস্থ হতে পারে। প্রশানের উচিত যারা এই কাজ করছে তাদেরকে ধরে আইনের আওতায় আনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘রাতে হলেই নদীতে বিষ দিয়ে মাছ ধরার মহোৎসব চলে।চকরাজাপুর বাজার সংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে শুরু করে কয়েক কিঃমিঃ এলাকা জুড়ে নদীতে চলে বিষ দিয়ে মাছ শিকার। রাত থাকতেই সেই মাছগুলো এলাকার বিভিন্ন বাজারে নিয়ে বিক্রি করে একটি চক্র। এটা দেখার কেউ নেই।’
ফরদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘পদ্মা নদীতে রাতের বেলায় বিষ প্রয়োগ করে একটি চক্র বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সংগ্রহ করছে। নদীতে প্রতিটি মাছের পেটে এখন ডিম। সেই সাথে নদীতে থাকা সাপ ব্যাঙসহ সকল জলজ প্রাণীকে হত্যা করছে তারা। নদীতে বিষ দিয়ে যারা মাছ শিকার করছে তারা দেশের শত্রু।’
বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আশাদুজ্জামান আসাদ বলেন, বিষ প্রয়োগ করে শিকার করা মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনিরাপদ ও খুব ঝুঁকিপূর্ণ।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা খুব তাড়াতাড়ি নদীতে অভিযান চালাবো। নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করা আইনগত অপরাধ। নদীতে বিষ প্রয়োগ করার কারণে নদীতে থাকা সকল জলজ প্রাণী মারা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করলে দেশের আইনে অপরাধিকে দুই বছর জেলসহ ৫ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে এবং উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে পারে।’
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ.ফ.ম আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, বষয়টি শুনার সেখানে আমাদের প্রশাসনে পক্ষ থেকে টহল জোরদার করা হয়েছে। অসাধু জেলে চক্রের সাথে যারাি জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।