স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সদ্য সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, ‘পাঁচ বছর মেয়র থাকাকালে শহরের একটি বস্তির বাড়িও ভাঙা হয়নি, এবার আমি মেয়র নির্বাচিত হতে পারলে আগামীতেও কোন বাড়ি উচ্ছেদ হবে না।’
রোববার বিকালে নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচানীর মাঠে এক পথসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে পদ্মাপাড়ের বস্তিবাসীকে এই প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন এলেই নদীর ধারের এসব এলাকায় বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হয়। অপপ্রচারকারীরা বলে, আমি মেয়র নির্বাচিত হলে নাকি ঘরবাড়ি তুলে দেব, বস্তি উচ্ছেদ করে বিনোদনকেন্দ্র করবো। আমি গত ৫টি বছর মেয়র ছিলাম, একজনের বাড়ি-ঘরও ভাঙা হয়নি, কাউকে উচ্ছেদ করা হয়নি। আগামীতেও হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছেন। রাজশাহীতে এই প্রকল্প এনে যাদের বাড়ি নাই, ঘর নাই, তাদের বাড়িঘর নির্মাণ করে দিতে চাই।’
লিটন বলেন, ‘আমরা উন্নয়নের একটা পর্যায়ে পৌছে গেছি। এবার আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। সেজন্য প্রয়োজন কর্মসংস্থান। যদিও কর্মসংস্থান দেওয়া মেয়রের কাজ নয়, তারপরও আপনাদের সন্তানদের জন্য এই দায়িত্ব আমি নিজ কাঁধে নিয়েছি। রাজশাহীতে তেমন শিল্প-কারখানা তেমন নেই। সরকারি যে কারখানাগুলো ছিল, সেগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। এখন বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে এসে রাজশাহীতে শিল্পায়ন করতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ‘আপনারা আমাকে নির্বাচিত করলে আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাবো যে, তিনি যেন শিল্পপতিদের বলে দেন রাজশাহীতে ছোট করে হলেও কিছু শিল্পকারখানা গড়তে। এটি করতে পারলে আগামী ৫ বছরে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এটি অনেক বড় কাজ, অনেক বড় দায়িত্ব, এই কাজটি আমি করতে চাই। আমি আপনাদের সন্তানদের কর্মের ব্যবস্থা করতে চাই।’
এদিন বিকালে লিটন ২৩, ২৪ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন। তাঁর সঙ্গে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি নাইমুল হুদা রানা, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।