ধূমপানমুক্ত প্রতিষ্ঠানকে  পুরস্কৃত করার আহ্বান

ধূমপানমুক্ত প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের নিমিত্তে রাজশাহী জেলায় গঠিত জেলার টাস্কফোর্স কমিটির প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে রাজশাহী সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান বলেন, ধূমপান মানে বিষপান। তামাকজাত দ্রব্যের ইতিবাচক কোনো দিক নেই বরং ক্ষতির অনেক দিক রয়েছে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ধূমপান মুক্ত প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হবে। শিক্ষক ও চিকিৎসকদের ধূমপান ও তামাক ত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি ধূমপান ও তামাকের ক্ষতির দিক সম্পর্কে সমজিদের মোয়াজ্জেমদের খুতবায় সচেতন করতে হবে। যদি শিক্ষক ও চিকিৎসক ধূমপান সেবন করেন, তবে সেসব নেশাগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বর্জন করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে কেন্দ্র পরিচালক এবং পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ কর্মশালা

তিনি আরো বলেন, ধূমপায়ী ব্যক্তি নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আবার এ দ্বারা আশপাশে থাকা মানুষদেরও ক্ষতি করে। কালের বিবর্তনে তামাকের ব্যবহারেও ভিন্নতা এসেছে। তামাক, জর্দা, হুক্কা, বিড়ি, সিগারেট পেরিয়ে তরল নিকোটিন বহনকারী ক্ষতিকর ই-সিগারেটের ব্যবহারও এখন দৃশ্যমান। সরকার ২০৪০ সালের মধ্যে বিড়ি, সিগারেট, জর্দার মতো তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে দেশের মানুষ তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাবে।

আরও পড়ুনঃ  নগরীতে বিশেষ অভিযানে ৪ জনসহ অন্যান্য অভিযোগে গ্রেপ্তার ২১

এ সময় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ও বিধি বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিহা সুলতানা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব মো. সাদিকুল ইসলাম, বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিস রাজশাহীর উপ-পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবীর।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, আইন অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, শিশুপার্ক ও খেলাধুলার স্থান থেকে একশ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষেধ। তামাকজাত দ্রব্য অথবা সিগারেট ফেরি করে বা ভ্রাম্যমাণ দোকানের মাধ্যমে বিক্রি করা যাবে না। সিগারেটের বিজ্ঞাপন প্রচার ও নাটক-সিনেমার দৃশ্যে ধূমপান ও মাদক গ্রহণের দৃশ্য প্রদর্শন করা নিষিদ্ধ। পাবলিক প্লেস, গণপরিবহন, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে ‘ধূমপানমুক্ত এলাকা’ সাইন বোর্ড স্থাপনা না করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আর্থিক জরিমানার মুখোমুখি হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  পথহারা এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরে দিয়েছে রাজপাড়া থানা পুলিশ

মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে, রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন, রাজশাহী জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মনজুর কাদের, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো সাইদুর রহমান, সোনালী সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক মো. লিয়াকত আলী।

মুক্ত আলোচনায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এ তামাক চাষ বন্ধ করা প্রয়োজন। তামাক চাষ কৃষি জমির উর্বরতা নষ্ট করে। ধূমপান ও তামাক সেবন একটি ভয়াবহ নেশা। এ নেশা থেকে মানুষকে বিরত রাখতে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যেমন দরকার, তেমনি আইনেরও কঠোর প্রয়োগ দরকার।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *