স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর আলমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) ভোরে তার মরদেহ দাফন করা হয়। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজশাহী নগরীর খোঁজাপুর ঈদগাহ মাঠে জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর ৬টার দিকে খোঁজাপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। জাহাঙ্গীর আলমের তার পারিবারিক সুত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাত ১০টা ১ মিনিটে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রাত ১২টার দিকে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে কারা কর্তৃপক্ষ। একই মঞ্চে ফাঁসি কার্যকর হওয়া আরেক আসামি ড. মিয়া মো. মহিউদ্দিনের মরদেহ রাতেই তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
রাজশাহীতে জাহাঙ্গীরের মরদেহ দাফনের সময় তার বড় ভাই সোহরাব হোসেন, ছোট ভাই মিজানুর রহমান মিজানসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় ওই এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মতিহার থানার ওসি রুহুল আমিন জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জাহাঙ্গীরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টার থেকে ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন অধ্যাপক তাহের আহমেদ। ২ ফেব্রুয়ারি তাঁর লাশ বাসার পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার হয়। এই হত্যা মামলার তদন্তে উঠে আসে, পদোন্নতি না পাওয়ার ক্ষোভে অধ্যাপক তাহেরকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন একই বিভাগের শিক্ষক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। এ মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক চারজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। এছাড়া দুজনকে খালাস দেন আদালত।
পরে সাজাপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল বিভাগ মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের রায় বহাল রাখলেও আসামি নাজমুল আলম ও তাঁর স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেন। বৃহস্পতিবার রাতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দুই আসামির রায় কার্যকর করা হয়।