সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : রাজশাহীতে গেল জুলাই মাসে ১২ জন নারী ও শিশু বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণের চেষ্টা, হত্যাচেষ্টা, আত্মহত্যা, পর্নগ্রাফিতে ভুক্তভোগীও আছে। সোমবার (৩১ জুলাই) উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ার (লফস) এ তথ্য প্রকাশ করে।
লফস জানিয়েছে, রাজশাহীর প্রচারিত দৈনিক পত্রিকার সংবাদের ভিত্তিতে নিয়মিত নারী ও শিশু নির্যাতনের পরিস্থিতি প্রকাশ করে। লফস মনে করে, নারী ও শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি বিভিন্ন মাত্রায় অবনতি ঘটছে। যৌতুক ও পরকীয়ার কারণে অধিকাংশ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে ভিনদেশি কিছু টিভি সিরিয়াল পরকীয়াকে উৎসাহিত করছে। এছাড়া পারিবারিক কলহ ও প্রেমঘটিত কারণে হত্যা-আত্মহত্যা ও অমানবিক নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে। বিষয়গুলো কারও জন্য সুখকর নয় বলেও তারা জানিয়েছে।
জুলাই মাসে অমানবিক কিছু ঘটে যাওয়া ঘটনার চিত্রে লফস জানায়, নগরীতে ইদ সেলামি দেওয়ার কথা বলে আনিকা (৮) নামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, তানোর উপজেলায় এক বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে (১৩) বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে নিয়ে গিয়ে রাতভর পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ, বাঘায় এক তরুণীকে অপহরণের চেষ্টা, আয়েশা বেগম (৪০) নামে এক নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা, নগরীতে এক নারীকে তার নিজ বাড়িতে স্বামীর সহযোগিতায় স্বামীসহ তার বন্ধুরা মিলে ধর্ষণের অভিযোগ, নগরীতে এক নারীকে মারধর করে তার নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ, মোহনপুরে এক বিধবা নারী জমির জবর দখল ও কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাড়িতে চুরির অভিযোগ, বাঘা উপজেলায় রানী আফরোজ (২৫) নামে এক নারীর বাড়িতে মধ্যরাতে আগুন লাগিয়ে হত্যার অভিযোগ, দুর্গাপুর উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, পুঠিয়াতে নাতিবৌকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে নানার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, গোদাগাড়ীতে নাজমা খাতুন (৪৫) নামে এক নারীকে ছুরিকাঘাতে নিহতের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে, তানোর উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে হত্যার চেষ্টা।