• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • ৫ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • somoyerkotha24news@gmail.com
  • +880-1727-202675

হত্যার পর সড়ক দুর্ঘটনার নাটক সাজিয়েও শেষ রক্ষা হলো না

প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৩ ১২:১৩

হত্যার পর সড়ক দুর্ঘটনার নাটক সাজিয়েও শেষ রক্ষা হলো না

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে এক যুবককে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ট্রাকের নিচে ফেলে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে হত্যার বিষয়টি উঠে এলে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এতে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়। পরে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের একজন দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন- রাজশাহী মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানার পশ্চিম বাঘাটা গ্রামের সবুজ আলী (২৮), মহানন্দাখালী গ্রামের কাওসার আলী (৪২), একই এলাকার সজল আহম্মেদ (২৮) ও সজলের স্ত্রী সুইটি খাতুন (২২)। রাজশাহীর পবা থানা পুলিশ গত ২৪ জুলাই এদের গ্রেপ্তার করে। এরপর সজল ও তার স্ত্রী সুইটির রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। রিমান্ড শেষে বুধবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ দিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সজল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে যুবকের হাঁসুয়ার কোপে ভাতিজা নিহত

বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র রফিকুর আলম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত ১ জুলাই পবার নওহাটা-দুয়ারী রাস্তা থেকে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তিকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেদিন মরদেহের প্যান্টের পকেটে টিকা কার্ড পাওয়া যায়। এটি দেখে জানা যায়, মৃতের নাম সুলতান আলী। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী গ্রামে তার বাড়ি।

তিনি জানান, স্থানীয়রা খবর দিয়েছিলেন ট্রাকের নিচে পড়ে এই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তবে কপালের বাম পাশে ও গলার আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। তাই মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। গত ২২ জুলাই ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া যায়। এতে বলা হয়, সুলতানকে শ^াসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পরে ২৪ জুলাই নিহতের স্ত্রী অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এরপর তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের শনাক্ত করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের মতো কিছুই হয়নি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আসামি সজলের বরাত দিয়ে আরএমপির মুখপাত্র জানান, সুলতান ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে সেখানেই বসবাস করতেন। দুই মাস আগে মোবাইল ফোনে সজলের স্ত্রী সুইটির সাথে সুলতানের পরিচয় হয়। তারপর সুলতান দেখার করার জন্য প্রায়ই সুইটিকে প্রস্তাব দিতেন। সুইটি তার প্রস্তাবে রাজি না হলে সুলতান সুইটির তিন বছরের বাচ্চার ক্ষতি করার হুমকি দেন। তখন সুইটি বিষয়টি তার স্বামীকে জানান।

এরপর সজল তার স্ত্রীকে দিয়ে ১ জুলাই সুলতানকে ডেকে পাঠান। কথামতো সুলতান এলাকার একটি পার্কে তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এ সময় পরিকল্পনা মোতাবেক সজল, তার বন্ধু সবুজ ও চাচা আনারুল ওই পার্ক থেকে সুলতানকে জোরপূর্বক অটোরিশায় করে তুলে আনেন। এরপর তারা সুলতানকে মারপিট করেন এবং পরিবারের লোকজনকে ডাকার জন্য চাপ দেন। কিন্তু সুলতান তার বাড়ি থেকে কাউকে ডাকেননি। এ কারণে বেলা ৩টার দিকে এলাকার একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে অটোরিকশার ভেতরেই শ^াসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়। এরপর চলন্ত ট্রাকের সামনে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উচ্ছ্বাসে পরিপূর্ণ ইদ আনন্দ

রফিকুল আলম জানান, মরদেহ ফেলে আসামিরা পালিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন মনে করেন, ট্রাকের নিচে পড়েই সুলতানের মৃত্যু হয়েছে। পরে স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন। তবে শেষপর্যন্ত ঘটনার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ সংবাদ

 

রাজনীতি-এর আরও সংবাদ

 



সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার

ঢাকা অফিস: ১২১,ডি.আই.টি, এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। রাজশাহী অফিস: বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী। ই-মেইল: somoyerkotha24news@gmail.com, মোবাইল: 01727202675