অনলাইন ডেস্ক : বিরোধীদের ‘আপত্তি’র মধ্যেই বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দিল্লির আমলাতন্ত্র নিয়ে বিল পাস হয়ে গেলো লোকসভায়। সংসদের নিম্নকক্ষে বিলটি পাস হওয়ার পরই ওয়াক আউট করেন বিরোধী সংসদ সদস্যরা।
দিল্লির আমলাদের নিয়োগ ও বদলির রাশ কার হাতে থাকবে এই নিয়ে জল গড়িয়েছিল দেশটির সুপ্রিমকোর্টে। গত ১১ মে শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে জানিয়েছিল, আমলাদের রদবদল থেকে যাবতীয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের।
তবে পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা ও ভূমি দপ্তর সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতেই থাকবে বলে জানানো হয়। গত ১৯ মে আদালতের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে অধ্যাদেশ জারি করে মোদী সরকার। অধ্যাদেশে বলা হয়, জাতীয় রাজধানী সিভিল সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। আমলাদের নিয়োগ ও বদলির ব্যাপারে তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন।
এর বিরোধিতা করে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির সরকার। এই অধ্যাদেশ ঘিরে আপ ও বিজেপির বাগ্যুদ্ধ চরমে। আপের পাশে দাঁড়িয়েছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’।
এর আগে সংসদে আলোচনার সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আসলে আমলাদের নিয়ন্ত্রণ করে নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে চাইছে দিল্লির আপ সরকার। ২০১৫ সালে আপ দিল্লির ক্ষমতায় আসার আগে আমলাদের পোস্টিং বা বদলি নিয়ে কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু কেজরিওয়ালের আমলেই আমলাদের নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সংবিধান অনুযায়ী, দিল্লির আইন প্রণয়নের অধিকার রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। সেই কথা মাথায় রেখেই পেশ করা হয় অর্ডিন্যান্স বিল।
কেজরিওয়ালের পাশাপাশি বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটকেও তোপ দাগেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, বিরোধী দলগুলোকে বলতে চাই, শুধু জোটে রয়েছেন বলেই দিল্লির সব দুর্নীতিকে সমর্থন করবেন না। কারণ আপনাদের জোট থাকলেও বিপুল জয় পেয়ে ক্ষমতায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এরপরেই নেহরুদের নাম টেনে এনে শাহ বলেন, জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, বি আর আম্বেদকরসহ একাধিক নেতারা চেয়েছিলেন, দিল্লি যেন পৃথক রাজ্যের মর্যাদা না পায়।