• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • somoyerkotha24news@gmail.com
  • +880-1727-202675

রাজশাহীর গাঁজার ‘চাহিদা’ মেটাচ্ছে কুড়িগ্রাম

প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০২৩ ১১:৪৭

রাজশাহীর গাঁজার ‘চাহিদা’ মেটাচ্ছে কুড়িগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী অঞ্চলের গাঁজার ‘চাহিদা’ মেটাচ্ছে কুড়িগ্রাম। ভারতীয় সীমান্তবর্তী এ জেলা দিয়ে মণের পর মণ গাঁজা ঢুকছে বাংলাদেশে। এর একটি অংশ আসছে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায়। গাঁজা পাচার করে আনার সময় মাদক কারবারিরা নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। কখনও কখনও দামি দামি সব গাড়িতে সরকারী সংস্থার স্টিকার লাগিয়ে গাঁজা পাচার করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাজশাহীতে যে সমস্ত গাঁজার চালান জব্দ করেছে তার প্রায় প্রতিটিই এসেছে কুমিল্লা ও কুড়িগ্রাম থেকে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের সদস্যরা কিছুদিন ধরে কুড়িগ্রাম থেকে আসা একের পর এক চালান জব্দ করছে। সবশেষ সোমবার ছয় মণ গাঁজার একটি চালান জব্দ করা হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহা. জিললুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল সকাল ৭টার দিকে নাটোরের সিংড়া উপজেলার লালোর বাজার এলাকায় এ অভিযান চালায়। এ অভিযানে দুটি দামি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। গাড়ি দুটিতে পাওয়া গেছে ২৪০ কেজি গাঁজা। এ সময় তিনজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এই চালানটিও এসেছিল কুড়িগ্রাম থেকে। গাড়িতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগিয়ে গাঁজা আনা হচ্ছিল।

আরও পড়ুনঃ  দেশের প্রথম শহীদ মিনারের স্বীকৃতি দাবি ভাষাসৈনিক আখুঞ্জির

অভিযানে গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার কুরুশা ফেরুশা গ্রামের নূর আলিম সরকার মিলন (৩৭), একই উপজেলার ধুলারকুটি গ্রামের মোমিনুল ইসলাম (৩৬) এবং পানিমাছকুটি গ্রামের হোসাইন আহমেদ (২৩)। তাদের কাছ থেকে একটি দামি পাজেরো জিপ এবং একটি হায়েস মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। এই গাড়িতে করেই মেঠোপথে আসছিলেন তারা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দারা জানান, বগুড়ায় একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই গাড়ি দুটিকে থামিয়েছিল। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগানো দেখে ছেড়ে দেয়। তবে মাদক পাচারের তথ্য ছিল বলে তারা গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালিয়েছেন। পাজেরো গাড়িটিতে ১৫০ কেজি এবং হায়েস মাইক্রোবাসটিতে ৯০ কেজি গাঁজা পাওয়া গেছে। নাটোর ও পাবনায় এই গাঁজাগুলো পৌঁছানো হতো বলে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।

এই অভিযানে গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে নূর আলিম সরকার মিলন কুড়িগ্রামের একজন শীর্ষ মাদক কারবারি। লোকদেখানো ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসার আড়ালে মাদকের কারবার করে বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন তিনি। হোসাইন আহমেদও মাদকের অন্যতম হোতা। গত ২৬ মে তাকে ১১০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করেছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের সদস্যরা। গ্রেপ্তারের ২৬ দিনের মাথায় তিনি আদালতে জামিন পান। কারাগার থেকে বেরিয়েই তিনি শুরু করেন গাঁজার কারবার। এরপর আবার গ্রেপ্তার হলেন তিনি। মোমিনুল এ দুজনের সহযোগী। তাদের বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় মামলা করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  পদত্যাগের গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন নাহিদ ইসলাম

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয় সম্প্রতি গাঁজার বেশকিছু চালান ধরেছে। এরমধ্যে ১১ জুন কুড়িগ্রাম থেকে আসা ১৫০ কেজি গাঁজার চালান সিরাজগঞ্জে জব্দ করা হয়। ১১ জুন আবার কুড়িগ্রাম থেকে আসা ৭০ কেজি গাঁজার চালান ধরা পড়ে সিরাজগঞ্জে। ১৫ জুলাই কুড়িগ্রাম থেকে আসা ৮ কেজি গাঁজার চালান জব্দ হয় রাজশাহীর পুঠিয়ায়। ২০ জুলাই নাটোরে ধরা পড়ে কুড়িগ্রাম থেকে আসা ১০ কেজি গাঁজা। ৩ আগস্ট কুমিল্লা থেকে আসা ৪০ কেজি গাঁজার আরেকটি চালান ধরা পড়ে রাজশাহীতে। ১১ জুলাই জেলা কার্যালয় কুমিল্লা থেকে আসা দুই হাজার পিস ইয়াবা বড়ির একটি চালান ধরে রাজশাহীর পুঠিয়ায়। অধিদপ্তরের ‘ক’ সার্কেলের জেলা কার্যালয় গত ১৬ জুলাই রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ১০০ কেজি গাঁজাসহ একটি ট্রাক জব্দ করে। এর আগে গত ১০ মে ৮০ কেজি গাঁজাসহ এই একই ট্রাক জব্দ করা হয়েছিল। আদালতের মাধ্যমে ট্রাকটি বুঝে নিয়ে মালিক আবার পাচার শুরু করে।

আরও পড়ুনঃ  বিনম্র শ্রদ্ধায় রুয়েটে মহান শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহা. জিললুর রহমান জানান, মাদক কারবারিরা প্রতিনিয়ত কৌশল বদলাচ্ছে। তারা দামি জিপ থেকে শুরু করে কার্গো ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স, পাওয়ার টিলারের মতো যানবাহন ব্যবহার করছে গাঁজা পাচারে। সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের গাড়িতে গাঁজার বড় বড় চালান পাওয়া গেছে। দামি গাড়িগুলোতে সরকারী বিভিন্ন সংস্থার স্টিকার লাগানো থাকছে। গাড়িতে লাগানো থাকছে সরকারী গাড়িতে ব্যবহৃত লাল-নীল সংকেত বাতি এবং সাইরেনও। সোমবারের অভিযানে গাড়িতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লোগো পাওয়া গেছে। সম্প্রতি নাটোরে গাঁজার চালান নিয়ে আসা একটি দামি জিপে বাংলাদেশ সরকারের লোগো এবং আরেকটি গাড়িতে পুলিশ লেখা স্টিকার পাওয়া গেছে। গাড়িগুলো মাদকের গডফাদারদেরই। তবে তারা নিজেদের নামে রেজিস্ট্রেশন করেন না।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান বলেন, ‘গত ৬ মাসে আমরা বিপুল পরিমাণ গাঁজার চালান জব্দ করেছি। মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিয়িত নিজেদের কৌশল বদল করছে। আমাদেরও কৌশল বদলে কাজ করতে হচ্ছে। মাদকের হোতাদের নজরদারির মধ্যে রাখা হচ্ছে বলে চালানগুলো ধরা পড়ছে।’

 

সর্বশেষ সংবাদ

লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫ ১২:০৮
১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম ও পিপিএম পদক প্রত্যাহার
মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫ ১২:০৮
নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় বাংলাদেশের
মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫ ১২:০৮
 

রাজনীতি-এর আরও সংবাদ

 



সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার

ঢাকা অফিস: ১২১,ডি.আই.টি, এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। রাজশাহী অফিস: বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী। ই-মেইল: somoyerkotha24news@gmail.com, মোবাইল: 01727202675