স্টাফ রিপোর্টার: গ্রামের অনেক মেঠোপথে অ্যাম্বুলেন্স ঢোকে না। জরুরি মূহুর্তে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালেও নেওয়া যায় না। এ জন্য রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা প্রশাসন তিন চাকার এক বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করল। সিএনজি চালিত তিনচাকার এই অ্যাম্বুলেন্সের নাম রাখা হয়েছে ‘গ্রামীণ অ্যাম্বুলেন্স’। অনেকেই এটিকে গরিবের তিন চাকার গ্রামীণ অ্যাম্বুলেন্স বলছেন।
উপজেলা পরিষদের ২০২১-২২ অর্থবছরের ‘উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প’-এর আওতায় অ্যাম্বুলেন্স দুটি কেনা হয়েছে। তিন চাকার অ্যাম্বুলেন্স হলেও এতে রোগীর শোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আছে রোগীর স্বজনদের বসার স্থানও। সাধারণ অ্যাম্বুলেন্সের মতো এতে সাইরেন, অক্সিজেনসহ অন্যান্য সুবিধাও রয়েছে। বুধবার বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাম্বুলেন্স দুটির উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই রোগী নিয়ে গ্রামীণ পথে ছুটবে এগুলো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, ‘আমি এখানে কয়েকমাস আগে যোগদান করেছি। আসার আগে এ উপজেলাকে যতটা উন্নত কল্পনা করেছিলাম, বাস্তবে সেরকম নয়। উপজেলা সদরের সঙ্গে ইউনিয়নগুলোর যোগাযোগব্যবস্থা কিছুটা পিছিয়ে পড়া মনে হয়েছে। রাস্তাগুলোও সরু। তখনই চিন্তা হচ্ছিল এসব জায়গা থেকে মানুষ কীভাবে অসুস্থ রোগীকে বিশেষ করে প্রসূতি মায়েদের হাসপাতালে নেবে! এ সমস্যার সমাধানের জন্য এই গ্রামীণ অ্যাম্বুলেন্সের কথা চিন্তা করি। এখন গ্রামের সরু মেঠোপথ থেকেও রোগী আনা যাবে।’
তিনি জানান, বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ ধরনের অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ কাজটি বাস্তবায়নে রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের অনুপ্রেরণা ছিল। ফলে তার জন্য কাজটি সহজ হয়েছে। এখন থেকে স্বল্প খরচে গ্রাম থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কিংবা জেলা সদরের হাসপাতালে রোগী নেওয়া যাবে।