স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও নগরীর শাহমখদুম থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহুর ‘অবৈধ’ সম্পদের খোঁজে অভিযানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা নগরীর নওদাপাড়া আমচত্বর এলাকায় শাহুর কার্যালয় ও বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন নথিপত্র দেখেছেন।
এ সময় দুদক কর্মকর্তারা শাহুকে তাঁর কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেন। দুদক গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তাঁর বাড়ির আয়তন পরিমাপ করেন। এই বাড়ির নির্মাণ ব্যয় শাহুর আয়কর রিটার্নে দেওয়া হিসাবের সঙ্গে মিলছে কি না তা দেখা হবে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের রাজশাহী বিভাগের উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম।
রাসিকের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে প্রার্থীরা যে হলফনামা দাখিল করেন তাতে সবচেয়ে বেশি সম্পদ দেখা যায় শাহুর। তিনি জমি কেনাবেচার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। হলফনামায় শাহু তার নিজের নামে দুটি তিনতলা আবাসিক ভবন, একটি পাঁচতলা বাণিজ্যিক ভবন, একটি পাঁচতলা আবাসিক ভবন এবং দুটি দোতলা আবাসিক ভবন দেখান। স্ত্রীর নামে একটি ১০তলা বাণিজ্যিক ভবন, একটি ছয়তলা আবাসিক ভবন এবং একটি পাঁচতলা নির্মাণাধীন ভবন দেখান। এছাড়া নিজের নামে ২১ বিঘা ও স্ত্রীর নামে সাড়ে ৬ বিঘা জমি দেখান।
হলফনামায় শাহু তার হাতেই নগদ ৫ কোটি ৬০ লাখ ৩৭ হাজার ৫১২ টাকা এবং ব্যাংকে ৩ কোটি টাকা জমা দেখান। স্ত্রীর কাছে নগদ দেখান ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৯০০ টাকা। শাহু কৃষিখাত থেকে বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ভাড়া থেকে ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৮ টাকা, ব্যবসা থেকে ৮৯ লাখ ৬৬ হাজার ৪০০ টাকা, শেয়ার থেকে ৩৪ হাজার ৫৫৬ টাকা এবং বিলবোর্ড ভাড়া থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা আয় দেখান। এছাড়া শাহু তার স্ত্রীর নামে বার্ষিক আয় দেখান আরও প্রায় ৮ লাখ টাকা।
অভিযোগ রয়েছে, এসব হিসাবের বাইরেও অনেক সম্পদ রয়েছে কাউন্সিলর শাহুর। অভিযান চলাকালে এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, এখন বিষয়গুলো অনুসন্ধান পর্যায়ে রয়েছে। এখনও কথা বলার সময় আসেনি।
কাউন্সিলর শাহাদত আলী শাহু বলেন, কে বা কারা দুদবে হয়তো অভিযোগ দিয়েছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক আমার ভবনের আয়তন মাপার জন্য এসেছিল। আমি নিজের টাকায় ব্যবসা করি, নিজের টাকায় আয় করি। কোন অবৈধ সম্পদ নেই।