অনলাইন ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে দুই ইসরায়েলিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ওই দুই ব্যক্তি সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। পশ্চিম তীরের হুওয়ারা গ্রামের কাছে সন্দেহভাজন ফিলিস্তিনিদের গুলিতে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
পশ্চিম তীরের এই গ্রামে অতীতেও ইসরায়েলিদের ওপর মারাত্মক আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে এবং এর বিপরীতে প্রতিশোধ নিতে সেখানে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের তাণ্ডবের দৃশ্যও দেখা গেছে। রোববার (২০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের হুওয়ারা গ্রামের কাছে একটি কারওয়াশে গুলি চালানোর এই ঘটনা ঘটে। বন্দুকধারী পায়ে হেঁটে এগিয়ে এসে হ্যান্ডগান দিয়ে গুলি চালায় বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, নিহত বাবার বয়স ৬০ বছর এবং ছেলের বয়স ২৮ বছর। হামলার পর বাবা-ছেলে দু’জনকে ঘটনাস্থলেই মৃত ঘোষণা করা হয়। নিহত দু’জনই দক্ষিণ ইসরায়েলের অ্যাশদোদের বেসামরিক নাগরিক বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে, তারা তাদের গাড়ি ঠিক করতে পশ্চিম তীরে এসেছিল এবং হুওয়ারায় কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করেছিলেন। মিডিয়ার দাবি, হামলা চালানোর আগে আক্রমণকারী তাদের সাথে অল্প কিছু কথা বলেছিল। সম্ভবত তারা ইহুদি ইসরায়েলি কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য তারা কিছু কথা বলে এবং পরে ফাঁকা জায়গায় তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে।
বিবিসি বলছে, হামলা চালাতে ব্যবহৃত অস্ত্রটি কাছাকাছি একটি মাঠে পাওয়া গেছে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও ওই এলাকায় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী কাছাকাছি অবরোধ আরোপ করেছে এবং বন্দুকধারীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। এছাড়া প্রতিশোধমূলক হামলার জন্যও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস এবং ইসলামিক জিহাদ প্রাণঘাতী এই হামলার প্রশংসা করেছে।
বিবিসি বলছে, হাওয়ারা গ্রামটি দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে একটি উত্তেজনাকর স্থান। এটি নাবলুসের দক্ষিণে প্রধান সড়কে অবস্থিত এবং তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ব্যবহার করে থাকে।
অতীতে ইসরায়েলিরা মাঝে মাঝে সেখানে কেনাকাটা করত এবং বিভিন্ন সেবা গ্রহণের জন্য আসত। কিন্তু সাম্প্রতিক সহিংসতা বৃদ্ধির পর এই এলাকাটি অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।