স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিল থেকে যুবলীগ নেতার ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকালে মহানগরীর বিভিন্ন সড়কের মধ্যভাগের রেলিং এবং লাইট পোস্টে সাটানো ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়। এঘটনায় রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহানের সমর্থক আব্দুল কারিম বোয়ালিয়া মডেল থানায় বিএনপির অজ্ঞাতনামা নেতাকর্মীদের আসামি করে এজাহার দায়ের করেছেন।
এদিকে এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে পুলিশ ২ জনকে মহানগরীর মালোপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলেন, রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য পিয়ারুল হায়দার আবু (৪২) এবং মহানগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন (৪২)।
মহানগর যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য আব্দুল কারিম এজাহারে উল্লেখ করেন, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সম্মেলন। নাহিদ আক্তার নাহান এ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশি। সম্মেলন উপলক্ষে তার সমর্থকরা মহনাগরীর বিভিন্ন সড়কের মধ্যভাগের রেলিং এবং লাইট পোস্টে ব্যানার ও ফেস্টুন সাটান।
শুক্রবার বিকালে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালিতে যাওয়ার সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা মহানগরীর গৌরহাঙ্গা, বিন্দুর মোড়, নিউমার্কেট, রাণীবাজার এবং ফায়ারব্রিগেড মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় সাটানো ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেন। এসময় ২৩০টি ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এর ফলে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা নাহিদ আক্তার নাহান বলেন, ব্যানার এবং ফেস্টুনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ শীর্ষ নেতাদের ছবি ছিল। ব্যানার ও ফেস্টুনের ছবি ছিঁড়ে ফেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। এটি রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। একারণে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এঘটনায় জড়িতদের আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
তবে যুবলীগ নেতা নাহানের ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ অস্বীকার করে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। ঘটনাটি শুনিনি। আমার জানামতে যুবলীগ নেতার ব্যানার বা ফেস্টুন ছিঁড়ার ঘটনার সাথে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়িত না।
এ ব্যাপারে বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।