এম.এ.জলিল রানা,জয়পুরহাট :১০সেপ্টেম্বর ২০২৩।জয়পুরহাটে মরদেহের হাড়ের স্তূপ উদ্ধার।জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী এলাকায় দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে লাউ গাছের নিচ থেকে হাড়গোড় ও মাথার খুলিসহ একটি গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের ধারনা মরদেহটি সেই যুবকের, পাঁচ মাস আগে নাইম হোসেন নামে যে যুবক নিখোঁজ হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন,পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের সামছুল ইসলামের বাড়িতে রাজমিস্ত্রিরা কাজ করছিল। শনিবার সন্ধ্যায় এক শ্রমিক নতুন শৌচাগার নির্মাণের জন্য মাটি খনন করতে যায়। ওই জায়গায় লাউ গাছ লাগানো ছিল। সেই শ্রমিক লাউ গাছ তুলতে মাটিতে কোদাল দিয়ে কোপ দিলে এসময় সেখান থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। সেই দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে মাটি খুঁড়লে একটি প্যান্ট ও মাথার খুলিসহ হাড়গোড় দেখতে পান শ্রমিকরা। এসময় বাড়ির মালিক পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে একটি গলিত মরদেহ উদ্ধার করেন।
ওহেদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি জানান, কয়েকমাস আগে পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী নয়াপাড়া গ্রামের মৃত মাসুদ রানার ছেলে নাঈম হোসেন (২৩ ধরঞ্জী বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান মেলেনি। মাসুদ আমার ভাগিনা। এ ঘটনায় আমি পাঁচবিবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। এখন পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি। এ মরদেহটি তার হতে পারে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) ইশতিয়াক আহমেদ জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হাড়ের স্তূপ উদ্ধার করেছে। তবে নিখোঁজ যুবক নাঈম হোসেনকে হত্যার পর ওই স্থানে পুতিয়ে তার উপরে লাউ গাছ লাগানো হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। এছাড়াও মরদেহটির ডিএনএসহ প্রয়োজনীয় সব কিছু সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।