অনলাইন ডেস্ক: এক ওভারে চার উইকেট। ৩ ওভার বল করে ৪ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট। হ্যাটট্রিক মিস হলেও ওভারের শেষ বলে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন মহম্মদ সিরাজ। ক্রিকেটের ইতিহাসে এইধরনের ফাইনাল আগে হয়েছে কিনা জানা নেই। নিঃসন্দেহে রেকর্ডবুকে নাম তুললেন সিরাজ। ৩ ওভারের শেষে ৮ রানে ১ উইকেট ছিল শ্রীলঙ্কার। চার ওভারের শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২ রান। দুর্ধর্ষ ওভার। এক ওভারেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত। সুইংয়ের সামনে আত্মসমর্পণ শ্রীলঙ্কার। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই নিসাঙ্কাকে ফিরিয়ে দেন সিরাজ। জাদেজার হাতে ধরা পড়েন লঙ্কার ওপেনার। তৃতীয় বলে আউট সামারাবিক্রমা। শূন্যতে এলবিডব্লিউ হন। পরের বলেই ঈশান কিষাণের হাতে ধরা পড়েন চারিথ আসালঙ্কা। হ্যাটট্রিক করার সুযোগ ছিল সিরাজের সামনে।
কিন্তু পঞ্চম বল বাউন্ডারিতে পাঠান ধনঞ্জয় ডি সিলভা। তবে পরের বলেই আবার আউট। উইকেটের পেছনে রাহুলের হাতে ধরা পড়েন ধনঞ্জয়। নিজের তৃতীয় ওভারেই পঞ্চম উইকেট সংগ্রহ সিরাজের। শূন্য রানে বোল্ড করেন অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে। ৬ ওভারের শেষে ১২ রানে ৬ উইকেট শ্রীলঙ্কার। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। হাইভোল্টেজ ফাইনালে বড় রান চাপিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু সিরাজের বিধ্বংসী বোলিংয়ে শেষ লঙ্কার টপ এবং মিডল অর্ডার। সাধারণত প্রেমদাসা স্টেডিয়ামের পিচ স্পিন সহায়ক। কিন্তু স্পিনাররা বল করার আসার আগেই ছয় ওভারের মধ্যে ৬ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। সিরাজের প্রশংসা করার পাশাপাশি সমালোচনা করতেই হবে লঙ্কার ব্যাটারদের। পরপর উইকেট হারানো সত্ত্বেও দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে আউট হয় তাঁরা। একদিনের ক্রিকেট খেলার মানসিকতা নেই শ্রীলঙ্কার।