স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১৯ সালের পর আর মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়নি ৬৩ বছর বয়সী লিয়াকত খানের। কারণ ভারতীয় এই নাগরিক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের পেসার হাসান আলীর সঙ্গে। ফলে হাসান ও সামিয়া আরজু দম্পতির ঘরে আসা নাতনির সঙ্গেও দেখা হয়নি নানা লিয়াকতের। তাদের সামনে সেই সুযোগ এনে দিয়েছে ভারত বিশ্বকাপ। হরিয়ানার বাসিন্দা লিয়াকত মেয়ে এবং নাতনির সঙ্গে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
নুহ জেলার অবসরপ্রাপ্ত ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার লিয়াকত খানের মেয়ে সামিয়া। ২০১৯ সালে দুবাইতে তার সঙ্গে হাসানের বিয়ে হয়। সেই বিয়ের চার বছর পার হলেও পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে যেতে পারেনি হাসান-সামিয়ারা। লিয়াকত জানিয়েছেন, ‘আমি আমার নাতনির সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করতে পারছি না।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ২০২১ সালে পাকিস্তানে গিয়েছিল, যখন আমার মেয়ে তার প্রথম সন্তানের জন্ম দেয়। আশা করি আহমেদাবাদে আবার দেখা হবে। আমি আমার নাতনিকে ধরে আদর করার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না।’ ৬৩ বছরের লিয়াকত খান বর্তমানে চান্দেনি গ্রামে বসবাস করেন।
আহমেদাবাদে আগামী ১৪ অক্টোবর প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। সেই ম্যাচে অপেক্ষা ঘুচানোর লক্ষ্য লিয়াকত খানের। সব ঠিক থাকলে এই ম্যাচের দিন প্রথমবারের মতো কোলে নেবেন তার নাতনিকে।