স্টাফ রিপোর্টার: কোনোদিন স্বপ্নই দেখিনি পাকা ঘরে ঘুমাব। জন্মের পর থেকে অনেক কষ্ট করে থেকেছি। নিজের একটা ঘর ছিল না। এখন আমরা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পাকা ঘরে থাকি। পরিবার পরিজন নিয়ে রোদ, বৃষ্টি ও ঝড়ের সঙ্গে আর লড়াই করতে হয় না। সরকারের পাকা ঘর পেয়ে খুব শান্তিতে বসবাস করছি। আমার ঘরের পাশে কিছু জমি আছে, সেই জমিতে আমি বিভিন্ন প্রকার সবজি আবাদ করি। এখানে বসবাস করতে পেরে আমরা মহাখুশি— প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে কথাগুলো বলছিলেন ফরু বেগম।
তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের ঝিনা গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী। ফরু বেগমের মতো প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে বসবাস করতে পেরে খুশি বাঘা উপজেলার ৪০৮ পরিবার। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘরে বসবাসকারীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান যে, তারা খুব ভাল আছেন।
সম্প্রতি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের হেলালপুর, হাবাসপুর, বাউসা ইউনিয়নের আড়পাড়া, দিঘা এবং গড়গড়ি ইউনিয়নের খানপুর নিচপলাশি গ্রামে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তিনটি ধাপে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ৪০৮টি ঘর দেওয়া হয়েছে। অসহায় পরিবারকে প্রতিটি ঘরে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা ব্যয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে পাকা বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর এর বাস্তবায়ন করে। ঘরে দুটি থাকার রুম, একটি বাথরুম, একটি রান্না ঘর, একটি বারান্দা রয়েছে। সুন্দর ডিজাইনের ঘরে রঙিন টিন ও ওয়াল রঙ করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে হেলালপুর গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে বসবাসকারী রেনুয়ারা বেগম ও আলেকা বেগম এবং বেংগাড়ী গ্রামের মালেকা বেগম ও আশরাফপুর গ্রামের খাজের মন্ডল বলেন, আমাদের যে জমি ছিল কয়েক বছর আগে পদ্মা নদীতে ভেঙে গেছে। তারপর থেকে ছন্নছাড়া হয়ে এখানে সেখানে বসবাস করতাম। খানপুর নিচপলাশি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দিয়েছেন। তারপর থেকে এখানে বসবাস করছি ভাল আছি।
হেলালপুর গুচ্ছগ্রাম কমিটির সভাপতি জাহিদ হাসান হৃদয় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আমাদের ঘর, বিদ্যুৎ,পানিসহ বিভিন্ন সুবিধা দিয়েছেন। আমরা এখানে ৪১টি পরিবার রয়েছি। এক সঙ্গে বসবাস করছি। সুখে দুখে একে অন্যের সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।
মনিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বরাদ্দ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। যাছাই বাছাই করে সুবিধাভোগীদের ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। সকল সুযোগ সুবিধা তারা পাচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের যাদের ঘর দেওয়া হয়েছে, তারা অধিকাংশই পদ্মার ভাঙনে সহায় সম্বলহারা খুব দরিদ্র মানুষ। তাদের সঙ্গে মাঝে মধ্যে গিয়ে দেখা করি। তারা খুব ভাল আছে।