অনলাইন ডেস্ক: জাতীয় ফুটবল দলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় মোরসালিন, জিকো ও তপু বর্মণ। ক্লাবের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ থাকায় তারা আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জাতীয় দলে ডাক পাননি। আগামীতেও কোনো ফুটবলার ক্লাবের শাস্তিপ্রাপ্ত বা তদন্তাধীন থাকলে জাতীয় দলের জন্য বিবেচিত হবেন না।
আজ (বৃহস্পতিবার) বাফুফের অন্যতম সহ-সভাপতি ও জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের অধীনে নিবন্ধিত কোনো ক্লাব/সংস্থার খেলোয়াড় শাস্তিপ্রাপ্ত, বহিষ্কার অথবা শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তদন্তাধীন থাকলে উক্ত খেলোয়াড় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের বাছাইয়ের জন্য বিবেচিত হবে না।
পরবর্তীতে উক্ত ক্লাব/সংস্থা কর্তৃক সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে শাস্তি বা অভিযোগ প্রত্যাহার করা হলে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের বাছাইয়ের জন্য বিবেচিত হবে।
ক্রিকেটে খেলোয়াড়রা বোর্ডের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় থাকেন। ফুটবলে অবশ্য ভিন্ন। ফুটবলাররা মূলত ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। জাতীয় দলে কোচ ডাকলে ফেডারেশন ক্লাবগুলোকে খেলোয়াড় ছাড়ার জন্য চিঠি দেয়। তাই ক্লাবগুলোর আপত্তি থাকলে ফেডারেশন সেটা গণ্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাফুফের এই সিদ্ধান্ত অনেকটাই যৌক্তিক। আগামীতে ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের সঙ্গে নানা ইস্যুতে এটা ব্যবহার করে কিনা সেটাও দেখার বিষয়।