অনলাইন ডেস্ক: আরিফিন শুভ বলেন, উনি (শেখ হাসিনা) রীতিমতো বিস্ময় নিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কীভাবে করেছো? কিভাবে করলা এত সুন্দর করে!’
সারাদেশে দেড় শতাধিক সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে “মুজিব: একটি জাতির রূপকার”। এটি ঢালিউডের যেকোনো সিনেমার জন্য রেকর্ড। নিকট অতীতে আর কোনো ছবি একসঙ্গে এতগুলো হলে মুক্তি পায়নি।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সিনেমাটি মুক্তি পায়। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে ছবিটির বিশেষ প্রদর্শনী দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুর জীবনীনির্ভর “মুজিব: একটি জাতির রূপকার” সিনেমাটি দেশবাসীকে দেখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সিনেমাটিতে শেখ মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেন আরিফিন শুভ। সিনেমাটি দেখার পর শুভকে প্রধানমন্ত্রী তার ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন। শুভর ভাষায়, “ছবিটি দেখার পর বঙ্গবন্ধুর মেয়ে (শেখ হাসিনা) মনে করেছেন আমি তার পিতার চরিত্রটি ঠিকঠাক তুলে ধরতে পেরেছি। এটাই আসলে মূল স্বস্তির জায়গা। তার এই স্বীকৃতির পর আমি আদৌ পেরেছি কিনা, সেটা ভাবার প্রয়োজন আমি দেখি না। কারণ, যার বাবার চরিত্র করেছি তাঁর মনে হয়েছে আমি পেরেছি।”
তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনা রীতিমতো বিস্ময় নিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কীভাবে করেছো? কিভাবে করলা এত সুন্দর করে!’ মানে উনি যেন বিলিভ করতে পারছিলেন না, চরিত্রটি আমিই করেছি। করলেও সেটা কেমন করে সম্ভব হলো, সেটাই তিনি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ফলে একজন কন্যা যদি মনে করেন, তার বাবার চরিত্রে অন্য একজন ঠিক ঠাক অভিনয়টা করেছে; এরচেয়ে বড় সত্য তো আর কিছু নেই। এখন অপেক্ষা দর্শক-সমালোচকদের প্রতিক্রিয়ার জন্য।”
“মুজিব” সিনেমায় শুভ ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব রেনুর ভূমিকায় নুসরাত ইমরোজ তিশা ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি (রেনুর ছোটবেলার চরিত্রে), শেখ হাসিনার চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের ভূমিকায় শহীদুল আলম সাচ্চু, খন্দকার মোশতাক চরিত্রে ফজলুর রহমান বাবু, আব্দুল হামিদ খান ভাসানির চরিত্রে রাইসুল ইসলাম আসাদ, তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রে রিয়াজ, বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফুর রহমানের চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী, মাতা সায়েরা খাতুনের চরিত্রে দিলারা জামান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর চরিত্রে তৌকীর আহমেদসহ শতাধিক অভিনয়শিল্পী ছবিটিতে কাজ করেছেন।
২০২১ সালের জানুয়ারির শেষ দিকে মুম্বাইয়ের দাদা সাহেব ফালকে স্টুডিওতে সিনেমাটির প্রথম ধাপের শুটিং শুরু হয়। সিনেমাটিতে সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন দয়াল নিহালানি। চিত্রনাট্য লিখেছেন অতুল তিওয়ারি ও শামা জায়েদি। শিল্প নির্দেশনার দায়িত্বে রয়েছেন নীতিশ রায়। কস্টিউম ডিরেক্টর হিসেবে আছেন শ্যাম বেনেগালের মেয়ে পিয়া বেনেগাল। সংগীত পরিচালনায় শান্তনু মৈত্র।