অনলাইন ডেস্ক: হামাসের অভিযানের পর থেকেই ফিলিস্তিনে একের পর এক পালটা আক্রমণ চালাচ্ছে ইসরাইল। চলমান এ হামলায় সামনে ভয়াবহ যুদ্ধের আশঙ্কা করছেন অনেকে। এরই মধ্যে ইসরাইলের স্থল হামলার ঘোষণায় শুধু গাজা নয়, যুদ্ধ-আতঙ্ক রয়েছে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরেও।
অঞ্চলটির বেথেলহামে যুদ্ধ-শঙ্কায় রীতিমতো শুকনো পণ্য মজুত করছেন অধিবাসীরা। রোববার টাইমস অব ইসরাইলের এক খবরে বলা হয়েছে, গাজার পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও ‘অভিযানে’ নেমেছে সেনারা। গত দুদিনে পশ্চিম তীর থেকেও ৩৩০ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে আইডিএফ।’ দ্য ন্যাশনাল।
বেথেলহামের ‘আল নাজি শপিং এবং রিটেইল’ কোম্পানি পরিচালনাকারী মোহাম্মদ গুনিম (৫০)। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তার বিক্রি আকাশচুম্বী হয়েছে এবং লোকেরা শুকনো জিনিস মজুত করার জন্য মড়িয়া হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘প্রথম দিনে আমাদের বিক্রি সাধারণত রমজানের প্রথম দিনগুলোতে যা বিক্রি করি তার চেয়ে অনেক বেশি ছিল। ইসরাইল গাজা আক্রমণ করলে কী হতে পারে তা নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন। যদি গাজার পতন হয়, আমরা সীমাহীনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি এমন হওয়া প্রয়োজন যেন পশ্চিম তীরের মানুষ শুধু খাদ্যসামগ্রী কেনার জন্য দোকানে ছুটে যেতে পারে, পাশাপাশি দুর্ভোগের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।’
বেথেলহেমের ঠিক দক্ষিণে তিন ব্যক্তি একটি রেস্তোরাঁয় চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তাদের মধ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত ইমাম, একজন শিক্ষক এবং একজন নির্মাণ ঠিকাদার। সবাই পশ্চিম তীরজুড়ে চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে উদ্বিগ্ন। অবসরপ্রাপ্ত ঠিকাদার মুহাম্মদ (৬১) বলেন, ‘আমাদের ক্ষেত্রটি একটি ইসরাইলি বসতির খুব কাছাকাছি এবং আমি যদি সেখানে যাই তাহলে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের বা তাদের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বিবাদ অনিবার্য হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুক্রবার দক্ষিণ পশ্চিম তীরের হেবরনের মাসাফির ইয়াত্তা এলাকায় একজন ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী এক যুবক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে।’ এসব ঘটনায় পশ্চিম তীরের মানুষের মাঝে আতঙ্ক আরও তীব্র হচ্ছে।