অনলাইন ডেস্ক: প্রক্রিয়া ঠিক নেই, নেই পাইপলাইনে গুরুত্ব। তারপরও বোর্ডের রয়েছে যে কোনো মূল্যে জিততে চাওয়ার প্রবণতা। বিশ্বকাপ শুরুর আগে নতুন কোচ নিয়োগ, ক্রিকেটারদের অন্তর্দ্বন্দ্ব, মাঠে চরম দায়িত্বহীনতা–এসবই বাংলাদেশের ভরাডুবির কারণ বলে মনে করেন ক্রিকেটবোদ্ধারা।
শুরুর আগেই যেন শেষের বাঁশি। বিশ্ব আসরে ভরাডুবির দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। মাঠের ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক হার, নেতিবাচক অ্যাপ্রোচ, অসহায় আত্মসমর্পণ। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে দায় কার!
বছরের পর বছর প্রক্রিয়া ঠিক না রেখে যারাই বোর্ডের দায়িত্বে এসেছেন, সবাই খুঁজেছেন সফল হওয়ার শর্টকাট পথ। বিশ্বকাপের আগে চান্ডিকা হাথুরুসিংহের নিয়োগ আরও জটিলতা বাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে যেন হ-য-ব-র-ল অবস্থা দলের। ক্রিকেটাররাও ভুলে যান বিশ্ব ক্রিকেট কতটা এগিয়েছে।
টাইগারদের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স নিয়ে দেশের সাবেক ক্রিকেটার হাসানুজ্জামান খান বলছেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে যারা ক্রিকেট খেলছে, তারা টিকতে পারবে। আমরা বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা একটা বিষয়, যেটা আমরা করছি। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে পারফরম্যান্স। মূল খেলোয়াড়রা যদি সঠিক সময়ে পারফর্ম করতে না পারে, তখন কিন্তু আমরা সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলি।’
বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট কিংবা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এলেই প্রমাণ হয় টাইগারদের ব্যাটিং দীনতা। এর রহস্যও লুকিয়ে আছে দেশের উইকেটে। ঘরোয়া থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট–নিম্নমানের পিচে খেলে অভ্যস্ত ক্রিকেটাররা সন্তুষ্ট থাকেন ২৫০ রানেই।
এসব নিয়ে টাইগারদের সাবেক কোচ সারোয়ার ইমরান বলেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট যে কোনোভাবে জিততে চায়। এটা তো আত্মহত্যার শামিল। আমরা তো হোম অ্যাডভান্টেজ নেবই। তবুও আইসিসি টুর্নামেন্টের আগে তো স্পোর্টিং উইকেটে খেলতে হবে।’
সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক আকরাম খানের ভাষ্য: ‘রানের ব্যাপারটা কিন্তু পুরোটাই প্লেয়ারের গুণের ওপর নির্ভর করছে। উইকেটে কেমন রান হবে, এটা তো খেলোয়াড়দেরই বুঝতে হবে। তারপর দলে কোচ-অধিনায়ক আছেন। তারাও এগুলো দেখবেন।
টেস্ট স্ট্যাটাসের ২৩ বছর পরও বদলায়নি বাংলাদেশের ক্রিকেটের চিত্র। সুদিনের জন্য আর কত দিন অপেক্ষা করতে হবে টাইগার ভক্তদের! বিসিবির কাছে তার উত্তর আছে?