অনলাইন ডেস্ক: টাঙ্গাইলে পৌর শহরের নিরালা মোড় এলাকায় ভাড়ায় চালিত রাজ্য সিনে কমপ্লেক্সে চলছে ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’। টাঙ্গাইলের এ হলটিতে সিনেমাটি সকাল সাড়ে ১০টা, সাড়ে ১২টা, সাড়ে ৪টা ও সাড়ে ৭টায় শো চলছে। প্রতিটি টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। টাঙ্গাইলে কোনো হল না থাকায় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে সিনেমা দেখার চর্চা খুব একটা নেই বলেই চলে। তবে এবার ‘মুজিব’ সিনেমা মুক্তির পর প্রাণ ফিরেছে টাঙ্গাইলের হারিয়ে যাওয়া সিনেমা হলে।
টিকিট মাস্টার মো. ছানোয়ার বলেন, ‘শুরু থেকেই দর্শকদের উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। দিন যত যাচ্ছে সিনেমা হলটিতে ততই দর্শকদের ভিড় বাড়ছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও আসছেন সিনেমাটি দেখতে। আর হল থেকে বেড়িয়ে তারা বেশ সন্তষ্টি প্রকাশ করছেন।’
গত ১৩ অক্টেবর মুজিব সিনেমার প্রথম শোতে টাঙ্গাইল-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন তার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। এদিকে জেলা প্রশাসক বিনা টিকিটে ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি দেখার আয়োজন করেছেন। আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে জেলা শিল্পকলায় ব্যবস্থা করেছেন।
রাজ্য সিনে কমপ্লেক্সের পরিচালক রাজ্য বলেন, ‘আমরা বেশ সাড়া পাচ্ছি। সিনেমাটি দেখতে নানা পেশার দর্শকের আনাগোনা বাড়ছে। এ সিনেমার মাধ্যমে দর্শক ও সিনেমা হলের পুরোনো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।’
পৌর এলাকার পলাশতলীর বাসিন্দা আ. মালেক বলেন, ‘পৌর এলাকার মধ্যে ৫টি সিনেমা হল ছিল। সেগুলোতে যখন সিনেমা চলত তখন বিভিন্ন ছন্দ মিলিয়ে প্রচার কাজ চলত। আর ‘মুজিব’ সিনেমা নিয়ে প্রচার কাজ আরও বেগবান করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
সিনেমা দেখতে আসা দর্শকরা বলেন, ‘গ্রামের মানুষের জন্য মাইকিং করে সিনেমাটির প্রচার করার দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়াও এই সিনেমাটি বিনা টিকিটে দেখার সুযোগ হলে আরো ভালো হতো।’
তারা আরও বলেন, ‘যারা বাস্তবে জাতির পিতাকে দেখার সুযোগ পাননি তারাই এখন হলে গিয়ে জাতির পিতাকে দেখে আবেগে আপ্লুত হচ্ছেন।’
অগ্রিম টিকিট কিনতে আসা আ. রহিম সরকার দৈনিক কালবেলাকে বলেন, ‘দেশের জন্য অকাতরে যিনি জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন তাকে কীভাবে পর্দায় তুলে আনা হলো এটা দেখার আগ্রহ আমার পরিবারের। তাই পরিবার নিয়ে আসব- আগেই টিকিট কিনে নিলাম।’
জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে সিনেমাটি জেলা শিল্পকলায় ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিনা টিকিটে দেখনোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি শোতে প্রায় তিনশতাধিক আসন রয়েছে। এই সিনেমাটি দেখে বঙ্গবন্ধুর জীবননীতি আদর্শকে দর্শকদের হৃদয়ে লালন করতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি পর্যায়ক্রমে উপজেলাগুলোতে বিনা টিকিটে দেখার জন্য সুযোগ করে দেওয়া হবে।