অনলাইন ডেস্ক: দেশের ফুটবলে অন্যতম শীর্ষ কোচ মারুফুল হক। চলতি মৌসুমে তাকে দেখা যাবে নতুন রুপে। মাঠে অনুশীলন, ডাগ আউটে কৌশল পরিবর্তন নয়, এবার ট্যাকনিক্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করবেন মারুফ। চলতি মৌসুমে মারুফকে নতুন রুপে দেখা যাবে চট্টগ্রাম আবাহনীতে। মারুফুল হক গত মৌসুমে শেখ জামাল ধানমন্ডির প্রধান কোচ ছিলেন।
২০০৮ সাল থেকে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে কোচিং করাচ্ছেন মারুফুল হক। ১৫ বছর ক্লাব, জাতীয় দলে টানা কোচিংয়ের পর এই মৌসুম খানিকটা বিশ্রাম নিতে চেয়েছিলেন। চট্টগ্রাম আবাহনীর অনুরোধে তাই ট্যাকনিক্যাল অ্যাডভাইজার হওয়ার সম্মতি দিয়েছেন,‘ এই মৌসুম মূলত আমি কোচিং করাতে চাইনি। তাই তাদের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছি।’
চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যানেজার সাবেক জাতীয় ফুটবলার আরমান আজিজ। মারুফের সঙ্গে ক্লাবের সম্পৃক্ততার ব্যাপারে বলেন,‘ মারুফ ভাই আগেও চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ ছিলেন। এই ব্যাপারে তিনি কোচিং করাতে চাইছিলেন না। এরপর আমাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে এই দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন।’
চট্টগ্রাম আবাহনী এই মৌসুম দল গঠন করার কথা ছিল না। দলবদল শেষ হওয়ার দুই দিন আগে খেলোয়াড় সংগ্রহে নামে। শেষ পর্যন্ত সিনিয়র এবং উঠতি কয়েকজন খেলোয়াড় পাওয়ায় মোটামুটি মানের দল গঠন সম্ভবপর হয়েছে।
মারুফ কোচ হিসেবে দেশের ফুটবলে প্রতিষ্ঠিত। ট্যাকনিক্যাল অ্যাডভাইজার পদের আওতা এবং দায়িত্ব সম্পর্কে বলেন, ‘অনুশীলন, দল নির্বাচন সব কিছু কোচরাই করবেন। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পরামর্শ বা মতামত দেব। অনুশীলন না করালেও অনুশীলনে থাকব মাঝে মধ্যে।’ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে মারুফ ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর ছিলেন। পরবর্তীতে অবশ্য প্রধান কোচই হয়েছিলেন।
মারুফুল হকের সম্পৃক্ততা মানেই দলের ফোকাস তার দিকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন চট্টগ্রম আবাহনী মৌসুমের শেষে কোন অবস্থায় থাকবে, ‘এখনই এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া কঠিন। খেলা গড়ালে বোঝা যাবে আসলে কোন দলের কি অবস্থা। তবে এখন পর্যন্ত কাগজ-কলমের হিসাবে ৫-৬ থাকার মতো অবস্থা রয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনীর। ’