• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • ১লা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • somoyerkotha24news@gmail.com
  • +880-1727-202675

টানা তিন দিন সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা বিএনপির

প্রকাশ: রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ ৮:১২

টানা তিন দিন সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা বিএনপির

অনলাইন ডেস্ক: মহাসমাবেশে পুলিশি বাধা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা তিন দিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এ কর্মসূচির মধ্যে সড়ক, রেল ও নৌপথ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

রোববার সন্ধ্যায় (২৯ অক্টোবর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

রিজভী বলেন, দেশে চলমান বিচারহীনতা, অপশাসন, সীমাহীন দুর্নীতি, অনাচার, অর্থ পাচার ও সিন্ডিকেটবাজির ফলে দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতিতে বিপর্যস্ত জনগণের জীবন জীবিকা রক্ষার স্বার্থে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, বাড়ি-বাড়ি তল্লাশি হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং এক দফা আদায়ে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।

আরও পড়ুনঃ  নিয়ামতপুরে তারেক রহমানের উপহার পেলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতের পরিবার

এ বিষয়ে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী গণতন্ত্রমঞ্চের নেতা সাইফুল হক বলেন, বিএনপি এবং আমরা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামীকাল (৩০ অক্টোবর) গ্যাপ দিয়ে ৩১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করব। সড়ক, রেল ও নৌ-পথ এ অবরোধ কর্মসূচির আওতায় থাকবে।

এদিকে গতকালের মহাসমাবেশে পুলিশি বাধার প্রতিবাদে আজ রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে বিএনপি। আগামীকাল সোমবার বাদ দিয়ে মঙ্গলবার থেকে পুনরায় টানা আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিল দলটি।

উল্লেখ্য, শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী ঢাকায় সমাবেশ করে। দুপুরের পর কাকরাইল এলাকায় বিএনপির সমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমাবেশগামী লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এসময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। ছবি তুলতে যাওয়া অনেক সাংবাদিককে তখন মারধর করা হয়। একদল যুবক কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে ঢুকে কয়েকটি মাইক্রোবাসে আগুন লাগিয়ে দেয়।

আরও পড়ুনঃ  দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়

এরপর পুলিশ বড় ধরনের অ্যাকশনে যায়। সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ছুড়ে তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া শুরু করে। এক পর্যায়ে ধাওয়া দিয়ে তারা নয়াপল্টনের মহাসমাবেশও পণ্ড করে দেয়। ধাওয়া খেয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়েন। পরে নয়াপল্টন, পুরানা পল্টন মোড় ও আশপাশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হয়।

আরও পড়ুনঃ  ভাঙ্গায় দুস্থ পরিবারের মাঝে খেলাফত মজলিস নেতারঈদ সামগ্রী বিতরণ

এসব ঘটনায় বিএনপির বহু নেতাকর্মীর পাশাপাশি অনেক পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকরা আহত হন। নয়াপল্টন এলাকায় এক পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। একইসময় আরও এক পুলিশ সদস্যকে লাঠি দিয়ে গণপিটিুনি দেওয়া হয়। মাথায় হেলমেট থাকায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান।

এসব ঘটনা চলাকালে এবং পরে সন্ধ্যা ও রাত পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ৫টি বাসে আগুন দেওয়া হয়। রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসময় পুলিশ হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তি নিহত হন। বিএনপি দাবি করেছে তিনি তাদের কর্মী।

ঢাকার এসব ঘটনার আঁচ লাগে জেলা পর্যায়েও। রাতে সাভার, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

সর্বশেষ সংবাদ

 

রাজনীতি-এর আরও সংবাদ

 



সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার

ঢাকা অফিস: ১২১,ডি.আই.টি, এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। রাজশাহী অফিস: বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী। ই-মেইল: somoyerkotha24news@gmail.com, মোবাইল: 01727202675