স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফাতেমা সিদ্দিকাকে বিস্ফোরক আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এই মামলায় আজ শনিবার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাজশাহী নগরীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাঈল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি ইসমাঈল হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চিকিৎসক ফাতেমা স্বীকার করেছেন তিনি জামায়াতকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করেন। এই টাকায় জামায়াত বিস্ফোরক দ্রব্য কেনে। এ জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, শাহ মখদুম থানায় গত মে মাসে পুলিশের করা এক মামলায় এই নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল বিস্ফোরক আইনে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে নগরীর বড়বনগ্রাম এলাকার নিজ বাড়ি থেকে চিকিৎসক ফাতেমাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। রাতে রাজশাহী মহানগর জামায়াতের শূরা সদস্য মাজেদুর রহমান জানান, ডা. ফাতেমা জামায়াতের একজন সুধী হিসেবে অর্থ সহায়তা করে থাকেন।
রাজশাহীতে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে যে কয়জন চিকিৎসকের নামডাক রয়েছে তাঁদের মধ্যে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকা অন্যতম। মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার নামে তাঁর একটি হাসপাতাল রয়েছে।
গত ৪ এপ্রিল ডা. ফাতেমা সিদ্দিকার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় রাজশাহীর উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ নিয়ে দুদক মামলা করে। এ মামলায় মহিবুল এখনো কারাগারে রয়েছেন। মহিবুলের স্ত্রী রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সহকারী কমিশনার (এসি)।
এরপর গত ৭ সেপ্টেম্বর ডা. ফাতেমার বাসায় অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। সেদিন বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে ফাতেমার ছেলে নাজমুস সাকিবকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এক তরুণীকেও। বাড়িটি থেকে সেদিন মাদকদ্রব্যও জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে নাজমুস সাকিব ও ওই তরুণী আদালতে জামিন পান।