স্টাফ রিপোর্টার: চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল ও রাজশাহীর তানোর উপজেলায় দুজনকে পিষে মেরে পালিয়ে বেড়ানো হাতিটিকে অবশেষে ধরা সম্ভব হয়েছে। বনবিভাগ, প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং হাতির মালিকের মাহুতেরা (হাতি পরিচালনাকারী) সমন্বিতভাবে কাজ করে হাতিটিকে ধরেছেন। হাতিটিকে ধরতে ঢাকা থেকে বনবিভাগের প্রশিক্ষিত কর্মীরাও এসেছিলেন।
দুইদিন ধরে ছুটে বেড়ানো ক্লান্ত হাতিটি তানোরের বৈদ্যপুর গোরস্থানে গিয়ে ঘুমিয়ে ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খোঁজাখুজির পর দুপুরে তার সন্ধান মেলে। এরপর দূর থেকে হাতিটিকে চেতনানাশক ইনজেকশন দেওয়া হয়।
এতে হাতিটি অচেতন হয়ে পড়লে শিকল দিয়ে তাকে বাধা হয়। পরে হাতির মাহুত শাকিলের জিম্মায় হাতিটিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিল্লাল হোসেন, রাজশাহী বিভাগীয় বন পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবিদা সিফাত, তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওয়াজেদ হোসেন, ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সুমন মিয়া. ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তানোর স্টেশনের সাব-অফিসার মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার বিকালে একটি সার্কাস থেকে ফেরার পথে হাতিটি নাচোলের মানিকপাড়া গ্রামে মোবাসসির (১৩) নামের এক শিশুকে পিষে মারে।
এ সময় হাতির মাহুত ভয়ে পালিয়ে যান। এরপর হাতিটি দিকবিদিক ঘুরে বেড়াতে থাকে। বিস্তির্ণ ধানের মাঠ পেরিয়ে হাতিটি চলে আসে তানোর উপজেলায়। ধামধুম এলাকায় জমিতে কীটনাশক স্প্রে করার সময় হাতিটি রামপদ (৩৮) নামের আরেক কৃষককে পিষে মারে। এরপর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর রাত নামলে হাতিটিকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
রাজশাহী বিভাগীয় বন পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাতিটি ক্লান্ত অবস্থায় গোরস্থানের জঙ্গলে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। তাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খুঁজে পাওয়ার পর অচেতন করে তাকে বাগে আনা হয়েছে। এরপর হাতিটি তার মাহুতের জিম্মায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।